"রাখাল ছেলে রাখাল ছেলে, বারয়েক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও।" ঠিক যেনো বাঁকা গাঁয়ের পথ। রাস্তাসহ দুই ধারের পথে ছেঁয়ে আছে অজস্র সবুজ ঘাস। ফুটে আছে যতো নামহারা ফুল। মহামারি করোনার কারণে এ সব পথে আসে না আর পর্যটক। একসময়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের চায়না পর্যটন (চায়না বাঁধ) এলাকা খ্যাত এই মনোরম জায়গাটি।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতিতে পরিবর্তণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো ও পর্যটনগুলোতে নেই দর্শাণার্থীদের উপস্থিতি। এতে সেখানকার গাছ-গাছালিগুলো আপন গতিতে বেড়ে উঠছে। এতে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে আপনা আপনি রাস্তার পাশে জন্ম নেয়া ঘাষ ফুলগুলো।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জের চায়না বেড়িবাঁধ এলাকায় দেখা গেছে ঘাষগুলো বড় হয়েছে। তাতে ফুল ফুটেছে। আবার এই ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। এতে সেখারকার পরিবেশে সৌন্দর্য্য বাড়িছে ফুলগুলো। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু ফুল আর ফুল।
চায়না বাঁধে কর্মরত এক পরিচর্যা কর্মী বলেন, এই ঘাষ আপনা আপনি জন্ম নিয়েছে। তাতে এখন ফুল ফুটেছে। কিন্তু এই ঘাষ তেমন পরিচর্যা করতে হয়নি। চায়না বাধ এলাকায় মানুষজনের উপস্থিতি নেই। এতে ঘাষে ফুল ফুটেছে। বাঁধের চতুর্পাশে ঘাষে ফুল ফুটেছে। কিন্তু করোনার আগেও এমন ফুল ফুটতে দেখা যায়নি। তিনি আরো বলেন, বাধে আসা দর্শণার্থী বেড়াতে এসে ঘাসের উপর বসে আনন্দ করে। এতে ঘাস তেমন বেড়ে উঠে না ফুলতো ফোঁটা দুরের কথা। এখন ফুল আর ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে।
বাঁধে বেড়াতে আসা আখতার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে ঘরবন্দী ছিলাম। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া হত না। হঠাৎ করেই নৌকাযোগে সিরাজগঞ্জের এই চায়না বাঁধে বেড়াতে এসেছি ঘাষ ফুলের এই সৌন্দর্য্য দেখতে। ঘাষে মানুষের ছোয়া না থাকায় এতে ফুল ফুটেছে। এছাড়া অচেনা অনেক ফুল দেখা যাচ্ছে। যা অন্যান্য সময়ে এমন সৌন্দর্য দেখা যায় না।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...