নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে উত্তরবঙ্গের মানুষজন। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলী থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে একটি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সেটি উদ্ধারে ৫ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
এর আগে সোমবার সেতুর উপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সেতুর উপর পরিবহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
বাস চালক মনসের আলী বলেন, ঢাকা থেকে গতকাল বগুড়া গিয়েছে কোন যানজটের মুখে পড়তে হয়নি। তবে আজ ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি পুংলী পর্যন্ত দেখি যানজট। কতক্ষণ বসে থাকতে হবে জানি না। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমাদেরও ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
যাত্রী মুনিয়া আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে স্বামীকে নিয়ে ভোরে রওনা দিয়েছি বগুড়া যাবো। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের আশেকপুর পর্যন্ত যানজট ছাড়া এসেছি। আশেকপুরের পর থেকে গাড়ির ধীর গতি ছিল পুংলী পর্যন্ত। পুংলীতেই বসে আছি ১০ মিনিট ধরে। আরও কতক্ষণ থাকতে হবে জানি না।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর একটি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫ মিনিট বন্ধ ছিল পরিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন্য পরিবহনগুলোতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...