১১:৩৪ এএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

"মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন ফার্মাসিস্টের খোলা চিঠি"

নাবিদ পারভেজ | টাঙ্গাইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ | |
প্রতীকি ছবি।
, টাঙ্গাইল :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি একজন ফার্মাসিস্ট। ঔষধ নিয়ে গবেষণা, ঔষধ উৎপাদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা, ঔষধের মান পরীক্ষা করা ও উন্নয়ন ঘটানো, আইন ও নিয়ম মোতাবেক ঔষধ তৈরি করা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখা, ঔষধের বিপণনে মার্কেটিং দলকে সাহায্য করা, ঔষধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা; এ গুলো আমার কাজের মধ্যে পড়ে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসারে, ফার্মাসিস্টদের শতকরা ৫৫ শতাংশ কমিউনিটি ফার্মাসি, ৩০ শতাংশ হসপিটাল ফার্মাসি, ৫ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং, ৫ শতাংশ সরকারি সংস্থায় এবং ৫ শতাংশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে শুধুমাত্র ম্যানুফ্যাকচারিংয়েই ৮৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট কর্মরত রয়েছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের মূল কাজ হচ্ছে ঔষধ কারখানায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জানেন যে, দেশের ঔষধ চাহিদার সিংহভাগই স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো পূরণ করে থাকে। পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১৮২টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে আমাদের দেশ। প্রতিবছরই রপ্তানি বাড়তে থাকায় এই ঔষধকে আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছিলেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার ও নার্সের ভূমিকা যেমন অপরিসীম, ঠিক তেমনিভাবে ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগতমান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ফার্মাসিস্টের ভূমিকাও অপরিহার্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার এই সময়ে ডাক্তাররা যেভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, নার্সদের পরিশ্রম যেভাবে সবার নজর কাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা ফার্মাসিস্টরা রাত - দিন কাজ করে ঔষধের সরবরাহ ঠিক রাখছি এবং পাশাপাশি আমাদের কিছু সংখ্যক ফার্মাসিস্ট প্রাইভেট হসপিটাল, প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কমিউনিটি ফার্মেসি(মডেল ফার্মেসি) তে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে কিন্তু আমাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। আমরা ফার্মাসিস্টরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন প্রণোদনা চাই না। আমাদেরকে ডাক্তার, নার্সদের মত জাতীয় বীর হিসাবে আখ্যায়িত করা হোক। যেই স্বাস্থ্যসেবা আমাদের ছাড়া অচল, সেই স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের কোন মূল্যায়ন করা হবে না, এটা কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্নটা রেখে গেলাম শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে। 

সবশেষে, করোনার এই ভয়াবহতা দ্রুত বিদায় হোক পৃথিবী থেকে সেই কামনা করি।

Md.Navid Parvez
Pharmacist
Bachelor of Pharmacy, Bangladesh University &
Master’s of Pharmacy(Running), State University of Bangladesh

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি