টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবারের দু’দিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে উপজেলার পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতি ও স্থায়ী চিমনির মোট ৮২টি ইটভাটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাটাগুলোর অধিকাংশ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভাটার মালিকরা জানান।
মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৯১টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি ভাটায় তৈরি হচ্ছে ইট। তবে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে ভাটার কাঁচা ইট ভিজে কাঁদা হয়ে গেছে। ভাটায় কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষা করার চেষ্টা হলেও বাতাসের কারণে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উপজেলার ভাওড়া নয়াপাড়া গ্রামে অবস্থিত এনএসএমবি ইটভাটার মালিক মো. মোকলেস জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে তার ভাটায় প্রায় ১২ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এসব নষ্ট ইট সরানোর জন্য আরও প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে উৎপাদনে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে। এরপরও আবহাওয়া অনুকূলে না এলে কাঁচা ইটের অভাবে ভাটা বন্ধ রাখতে হবে।
উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া গ্রামে অবস্থিত হাকিম ব্রিকস এর মালিক মো. আওলাদ হোসেন জানান, তাদের দুই ভাটায় প্রায় ১৪ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এতে তার প্রায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান জানান, মির্জাপুর উপজেলায় বর্তমানে পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতি ও স্থায়ী চিমনির মোট ৮২টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ভাটায় ১০ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া এসব কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নিয়ে আবারও নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক মজুরী আর অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ভাটার আকার অনুযায়ি প্রতিটির ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হবে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...