টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের বানাইল গ্রামের শাহানুর মিয়া তার ষাঁড়টির দাম হাকছেন ১৫ লাখ টাকা।
শাহানুর জানান, তার এই ষাঁড়টি গত ৫ বছর ধরে তিনি লালন পালন করে আসছেন। মোটাতাজাকরণের কোন ওষুধ বা ইনজেকশন তিনি প্রয়োগ করেননি। সম্পূর্ন দেশী খাবার খাইয়ে তিনি ষাঁড়টিকে বর্তমান পর্যায়ে এনেছেন।
ষাঁড়টির খাবারের ম্যানুতে রয়েছে ঘাস, লতাপাতা, খড়, চিনি, গুড়, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোলা, ডাল, খৈল, ভুসি, কিসমিস, আম ও ভাতের মার। ষাঁড়টির ওজন প্রায় এক টন হবে বলে ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন।
শাহানুরের বিশাল আকারের এই ষাঁড় দেখার জন্য প্রতিদিন আশপাশের গ্রামের লোকজন ভিড় করছেন। যে ঘরে ষাঁড়টিকে রাখা হয় সেই ঘরে একটি সিলিং ফ্যান দেয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ষাঁড়টি কোন রোগ বালায়ে আক্রান্ত না হলেও তিনি টাঙ্গাইলের পশু চিকিৎসক ডা. মো. আফাজ উদ্দিনকে বাড়িতে এনে ষাঁড়টির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানান।
শাহানুর আরও জানান গত বছর ষাঁড়টি বিক্রির উদ্দ্যোগ নিয়েছিলেন। দাম হয়েছিল মাত্র ৫লাখ টাকা। কিšুÍ তিনি ওই দামে বিক্রি করেননি। এ বছর তিনি ষাঁড়টির দাম হাকছেন ১৫ লাখ টাকা।
কোন শিল্পপতি, মন্ত্রী বা এমপি তাদের এই ষাঁড়টি উপযুক্ত দাম দিয়ে অবশ্যই কিনবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন শাহানুরের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম। গত পাঁচ বছর ধরে ষাঁড়টি লালন পালন করতে গিয়ে তারা ঋণগ্রস্থ হয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত কোন ক্রেতা আসেননি বলে শাহানুর দম্পত্তি জানিয়েছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...