‘ভাই ত্রাণ চাই না, খাবার পানি দেন, খাইয়া বেঁচে থাকি, এমন আকুতি করে বলছিলেন গাবসারা ইউনিয়নের রেহাই গাবসারা গ্রামের আব্দুল লতিফ। লতিফের মতো উপজেলার বন্যার্ত হাজারো মানুষ বিশুদ্ধ পানির কষ্টে হাহাকার করছে। ডুবন্ত টেউবওয়েলের পানি খেয়ে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বানভাসীরা। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ঔষুধ বা পানি বিশুদ্ধ করনের ট্যাবলেট পৌঁছায়নি বন্যা কবলিত মানুষের কাছে। যদিও প্রশাসন থেকে দাবী করা হয়েছে বন্যার্তদের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঔষুধ ও পানি বিশুদ্ধ করণের ঔষুধ রয়েছে। কিন্তু সেগুলো বন্যায় কবলিত মানুষের কাছে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গাবসারা, অর্জুনা ইউনিয়নসহ বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে এসব বিষয়ে জানতে গেলে তারা অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। তারা জানান, কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্য সহকারি আমাদের খোঁজ নেইনি। পানিতে বসবাস করে হাত-পায়ে ঘাঁ তৈরি হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার না থাকায় নদীর পানি ও ডুবন্ত টিউবওয়েল এর পানি পান করছি। এছাড়া গো-খাদ্য ও পানিতে পড়ে গবাদিপশু মারা যাচ্ছে।
অর্জুনা ইউনিয়নের শশুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের সাথে কথা হলে তিনি তার পা ও হাতের ঘাঁ দেখিয়ে বলেন, পানিতে থেকে শরীরে ঘাঁয়ের সৃষ্টি হয়েছে। পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ঘরে উচু মাঁচা করে কোন রকমে থাকছি।
গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, হাজারও বর্ন্যাতদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার খুবই প্রয়োজন। পানি বিশুদ্ধ করনের জন্য কোন ঔষুধ পাওয়া যায়নি। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবু সামার বিরাত দিয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল টিম গঠন রেডি করা আছে প্রয়োজন হলে তাদের অবগত করতে বলা হয়েছে। ত্রাণের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার প্রশাসন থেকে মাত্র দুই টন চাল ডিও বরাদ্দ পেয়েছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, “জেলা প্রশাসন থেকে ৫টন চাল ও ১লাখ টাকা বরাদ্দ্ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ হতে আরো ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুই হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে। শুক্রবার থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে। ধারাবাহিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে।”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...