"বাল্য বিবাহ বন্ধে, সচেতন হচ্ছে কিশোরিরা" শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ প্রকাশিত জেলা প্রশাসনের একটি পোষ্ট দৃষ্টি কেড়েছে সবার। বতর্মানে প্রযুক্তির বিস্তারের কারণে অল্প সময়েই সবার কাছে পৌছে গেছে বার্তাটি। তাই টাঙ্গাইল২৪.কম এর পাঠকদের জন্য পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরা হল :
[
সাদিয়া আক্তার নামের ১৪ বছর বয়সী এক মেধাবী স্কুল ছাত্রী (জে.এস.সি পরীক্ষায় “এ” গ্রেড প্রাপ্ত) টাঙ্গাইল এর বাসাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সায়মা আক্তারকে সরাসরি ফোন করে তার বাল্য বিবাহের আয়োজন সম্পর্কে জানান এবং বিভিন্ন সময়ে এসএমএস এর মাধ্যমে তার বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য অনুরোধ জানান।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল জনাব মো: মাহবুব হোসেন এর নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিবাহ পন্ড করেন এবং মেয়ের বাবাকে জরিমানা ও ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না বলে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করেন।
মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মেয়েটির পড়াশোনা অব্যাহত রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
]
বার্তাটি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সাফল্যর একটি অংশমাত্র। ছোট হলেও এর মানে অনেকটাই বড়। বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকারের সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের অন্যতম সাফল্যও এটি। তবে একরম ঘটনা অন্যান্য জেলার চেয়ে আমাদের টাংগাইলেই বেশি। কারণ আগে দেখা যেত বাল্য বিবাহ বন্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হত। কিন্তু এখন আমাদের সমাজের কিশোরীরা এতটাই সচেতন যে, নিজেরাই নিজেদের সমস্যা উপলব্ধি করে এগিয়ে আসছে। আর এভাবেই যদি সবাই যার যার অবস্থান থেকে একটু এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো সমস্যাই থাকবে না। আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পাবো। যেখানে সবাই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সব চেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে কাজী, পুরোহিতরা। তারা যদি একটি বারের জন্য নিজের চোখটাকে খুলে, তাহলে বাল্য বিবাহের মত ব্যধি হয়তো সমাজে থাকবেই না। তাই তাদেরও অনুরোধ জানাবো, আসুন সচেতন কিশোরীদের সাথে আপনারাও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে এক্য গড়ে তুলুন। আপনাদের সহযোগিতাই যে এখন এই সাহসী কিশোরীদের অনেকটা ভরসা দিতে পারে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...