টাঙ্গাইলের গোপালপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছিল। কিন্তু মামলা দায়েরের প্রায় দেড় মাস পেড়িয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামিই।
এ নিয়ে লজ্জা আর শঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যদের।
দীর্ঘ দিনেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়াসহ অধরায় থাকায় পুলিশের রহস্যময় ভূমিকা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর (১৫) বাড়ি পৌর শহরের হাজরাবাড়ি গ্রামে। তার বাবা হতদরিদ্র ভ্যানচালক। ছাত্রী পাকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের মৃত নওজেশ আলীর ছেলে আয়নাল হক, বাখুরিয়াবাড়ী গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে রহিম, দুলালের ছেলে ফেরদৌস ও তাদের সঙ্গীরা মিলে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
বাড়ির অদূরে একটি জমিতে নিয়ে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ওই নরপশুরা।
ঘটনার দু’দিন পর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোপালপুর থানায় মামলা করেন। এরপর ধর্ষিতা ছাত্রী ২৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রূপন কুমার দাশের আদালতে জবানবন্দি দেয়। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষায় মেলে ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত।
এতকিছুর পরও মামলার প্রায় দেড় মাস পেড়িয়ে গেলেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর ফলে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এখন ধর্ষিতার পরিবার।
শুধু ধর্ষিতার পরিবারের মধ্যে নয়, পুলিশের রহস্যময় ভূমিকা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে উপজেলার সাধারন মানুষের মাঝেওভ
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আশরাফ উজ্জামান জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...