পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছেন টাঙ্গাইলের ফুল ব্যবসায়ীরা। বিশেষ দিনটিতে পর্যাপ্ত সরবরাহের ফুল ফুল মজুদে এখন ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।
জেলা শহরের সবচেয়ে বড় শহরের ভিক্টোরিয়া রোডের ফুলপট্টিতে পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষে এখন ফুল ব্যবসায়ীদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এখানে প্রায় ২০টির মতো ফুলদোকান রয়েছে। তাদের আশা, এবার বৈশাখে অন্তত ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে।
এখানের ফুলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বৈশাখকে সামনে রেখে ফুল দিয়ে তরুণীদের পছন্দের মাথার ক্রাউন ও খোপার মালা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। তৈরি হচ্ছে ফুলের দিয়ে নানা ডিজাইনের গহনা।
দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের সিংহভাগ ফুলের যোগান আসছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফুল বাগানগুলো থেকে। পাশাপাশি যশোরের গদখালি থেকেও বেশ কিছু ফুল আসছে।
হারাধন পুষ্প বিতানের স্বত্বাধিকারী রতন ঘোষ জানালেন, নববর্ষ ও তার আগের দিনই বেশি ফুল বেচা-কেনা হবে। তিনি বলেন, ‘ফুলের কাঁচামালে প্রতিদিনই দামের হেরফের হয়। তাই আমাদের কেনা বেচারও কোন নির্দিষ্ট দাম থাকে না। বৈশাখকে সামনে রেখে প্রতি শ’ গ্লাডিওলাস কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায় । আর মালা বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা। রজনীগন্ধার স্টিকের প্রতি শ’ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা । আর রঙীনগুলো বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫টাকা পিস । অপরদিকে মালা বিক্রি হচ্ছে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা। গাজরা ফুল দিয়ে তৈরি খোপারমালার মূল্য প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আর ছোট থেকে মাঝারি গোলাপ ৪০০-৪৫০ টাকা শ’ কিনে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা ।’
রতন ঘোষ বলেন, ‘গেল বছর বৈশাখের দিন প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। তবে এবার কেমন বিক্রি হবে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।’
আশা পুষ্প কর্নারের ব্যবসায়ী শামীম খান বলেন, ‘গেল বছরও বৈশাখের দিন প্রায় ৪০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। জানি না এবার কেমন ব্যবসা হবে। তাছাড়া অন্যান্য ব্যবসার মতো ফুল ব্যবসাতেও সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। আর এই সিন্ডিকেট বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের দাম বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে বাধ্য হয়েই আমাদের দাম বাড়াতে হয়। তাছাড়া সারাবছর আমাদের কোন কেনা বেচা থাকে না। শুক্রবার ছাড়া বিক্রি যা হয়, তাতে দোকান খরচ চালানোই কষ্ট হয়ে যায়।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...