০২:১৬ এএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

ভাসানী পরিষদ স্মরণ করলো মওলানা ভাসানীর বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া দিন

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১ | |
, টাঙ্গাইল :

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভাসানী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি স্মরণ করলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক মওলানা ভাসানীর সন্তোষের বসতবাড়ি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্মিত ও নির্মানাধীন গৃহাদী ও দরবার হল পুড়িয়ে দেয়া দিন। 

এ উপলক্ষে রবিবার বিকাল ৫ টায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে ঐতিহাসিক দরবার হলে একটি পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব এবং বিভিষিকাময় সেই দিনের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেন মোহাম্মদ হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভাসানী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

দিবসটি স্মরণে ভাসানী পরিষদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ হোসেন শুরুতেই মওলানা ভাসানীর সেই সময়কার বসত-ভিটা চিহ্নিত করেন এবং উপস্থিত সকলে তা সংরক্ষণের জন্য জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত্রি দ্বিপ্রহরে পাকিস্তানি হানাদাররা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর। আক্রমণ করে আধাসামরিক বাহিনীর দপ্তর পিলখানা, পুলিশ সদর দপ্তর রাজারবাগ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে। এর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা আসে আর ২৬ মার্চ শুরু হয় প্রতিরোধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইয়াহিয়া-টিক্কা বাহিনীর একটি প্রধান আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল টাঙ্গাইল, বিশেষত সন্তোষ। ৩ এপ্রিল তারা টাঙ্গাইলে এবং ৪ এপ্রিল মওলানা ভাসানীর খোঁজে সন্তোষে প্রবেশ করে। সেখানে তাঁকে না পেয়ে তারা তাঁর বসতবাড়ি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্মিত ও নির্মানাধীন গৃহাদীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই ছাঁই হয়ে যায় তাঁর স্বপ্নের ক্যাম্পাস, বসতবাড়ি। পুড়ে যায় স¤্রাট আওরঙ্গজেবের হাতে লিখা কোরআন শরীফসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেজ। এরপর তারা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁর প্রিয় সন্তোষ দরবার হলে। কিন্তু অলৌকিকভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে তা নিভে যায়। অতপরঃ সন্তোষে ভাসানীকে না পেয়ে ৬ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার বর্বর হানাদাররা মাইল দু'য়েক পশ্চিমে বিন্যাফৈর গ্রামে প্রবেশ করে। হানাদাররা গ্রামটিকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি শুরু করলে গ্রামবাসী দিক-বিদিক ছুটে পালাচ্ছিল। মওলানা ভাসানী হানাদার বাহিনীর বিন্যাফৈর উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে প্রথমে বাড়ির উত্তর দিকের পুকুর পাড়ে অবস্থান নেন এবং পরবর্তীতে গান-পয়েন্টে এগিয়ে আসা হানাদারদের পাশ দিয়েই চাঁদর মুড়ি দিয়ে হাটুরে জনতার সাথে মিশে পশ্চিম দিকে চলে যান। এক সময়ে স্ট্রেচার বুলেট দিয়ে দূর থেকেই আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তাঁর এই বাড়িতে। এতটুকু ঘটাতে সাকুল্যে পাঁচ মিনিটের মতো লেগেছিল; কিন্তু কার্যত একটা একতরফা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মওলানা ভাসানী আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে ছদ্মবেশে তা মোকাবেলা করে যমুনার চরের দিকে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে নৌকাযোগে ধলেশ্বরী-যমুনা হয়ে রৌমারীর নামাজের চর সীমান্ত দিয়ে তিনি ১৫-১৬ এপ্রিল ভারতে প্রবেশ করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি