টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পূর্বপাশ দিয়ে প্রবাহিত সদাপ্রবাহমান ঐতিহ্যবাহি বারুখালি খালটি এখন মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে।
দখল ও ভরাট করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করায় প্রবাহমান খালটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে পৌরসভার প্রায় ২৫ হাজার নাগরিক জলাবদ্ধতার হুমকিতে পড়েছে।
সব জেনেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের দক্ষিন প্রবাহিত লৌহজং এবং উত্তরে বংশাই নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বারুখালি খালটি এক সময় বার মাস প্রবাহমান থাকতো। এমনকি চৈত্র মাসেও এই খালে পানি থৈ থৈ করতো। কিন্ত ৮০ দশকের শুরু থেকে তৎকালিন ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যোগসাজশে সদাপ্রবাহমান এ খালটি জবর দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়।
শহরের আয়তন বাড়ার সাথে সাথে খালের দখল প্রক্রিয়াও বাড়তে থাকে। গত কয়েক বছরে খালের দুই পাশের জমি দখল ও ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, বাড়িঘর ও দোকানপাট।
বর্তমানেও স্থানীয় কতিপয় অসাধু চক্র ও প্রভাবশালীরা টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক পরিচয়ে খাল দখল করে অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর, দোকান-পাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
খাল ভরাট করে দখলের ফলে লৌহজং ও বংশাই নদীর সঙ্গে সংযোগ মুখ বর্তমানে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ঐতিহ্যবাহি খালটি মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বারুখালি খালটি দখল ও ভরাটের হাত থেকে রক্ষা করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোসাম্মদ রুমানা ইয়াসমিন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। নতুন করে কোন নদী বা খাল দখল করতে দেয়া হবে না।
সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির মাধ্যমে দখল হওয়া খাল পূর্নউদ্ধার প্রক্রিয়া চালানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...