টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনের এক যাত্রীর নিষ্ঠুরতায় প্রাণ গেল বাবরের।
ট্রেনের যাত্রীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে স্ত্রীর সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে ওই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মির্জাপুর রেল স্টেশনে। নিহত বাবরের (২৫) বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার কুর্ণী গ্রামে। পিতার নাম বাবলু মিয়া।
বাবর স্ত্রী নিয়ে মির্জাপুর বাজারের বাওয়ার রোডের হাজী মনির হোসেনের বিল্ডিয়ের ৩য় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ সুমন বাসপার (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। পিতার নাম মফিজ বাসপার।
পারিবারিক ও রেলওয়ে সূত্র মতে, বাবর তার শ্যালক আরিফ হোসেনকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেওয়ার জন্য তার স্ত্রী বিথি কে সঙ্গে নিয়ে রেল স্টেশনে যান। সেখানে আরিফকে ট্রেনে তুলা নিয়ে সুমনের সাথে বাবরের কথা কাটাকাটি হয়।
আরিফকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার পর এক পর্যায়ে ওই ট্রেন যাত্রী সুমন ট্রেন থেকে বাবরের গায়ের গেঞ্জি টেনে ধরে। এসময় ট্রেনটি ছেড়ে দিলে বাবর ট্রেনের সঙ্গে দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে স্টেশনের অদুরে গেলে সুমনের গেঞ্জি ছিড়ে সে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যায় বলে স্ত্রী বিথি বেগম জানিয়েছেন।
এতে খন্ড বিখন্ড হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এই নিষ্ঠুরতা দেখতে পেয়ে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা সুমনকে ট্রেনেই আটক করে রাখেন। তারা তাকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার গোলাম মঈনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহম্মেদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত সুমনকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নিহত বাবরের পরিবারের সদস্যরা কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করে লাশ নিয়ে দাফন করেছেন। এঘটনায় পুরো গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...