গেলো বারের মতো এবারও লোকসানের মুখে পড়েছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার শাল (চাদর) তাঁতিরা। এ নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আবাদপুর গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক পরিবার শীতকে কেন্দ্র করে তৈরি করছেন আধুনিক ডিজাইনের শাল। হাটে শাল বিক্রি করে লাভের আশায় বুনন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। আর তাঁত মালিকরা সার্বক্ষণিক তাদের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন।
রুচিশীল ও অত্যাধুনিক ডিজাইনের হওয়ায় এ উপজেলার উৎপাদিত শালের কদর রয়েছে সারাদেশে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করটিয়া হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ক্রেতাদের মাধ্যমে ছরিয়ে পরে এ শাল। কিন্তু এবার বেঁচা-বিক্রি মন্দা থাকায় হাসি নেই এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের।
আবুল কাসেম নামের এক তাঁত মালিক জানান, গেলো বছরের মতো এবারও শালের চাহিদা বৃদ্ধি পায়নি। শাল তৈরি করতে যা খরচ হয় সেই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। হাটে চাহিদা বৃদ্ধি ও মহাজনদের অগ্রিম অর্ডার পেলে শালের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার শালের দাম কমেছে আর এজন্য শীতের তীব্রতা না থাকার কারনকেই দায়ি করেছেন তিনি।
শাল ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, আড়াই হাত প্রস্থ এবং চার/পাঁচ হাত দৈর্ঘ্যে তৈরি হয় শাল। ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা আবার কোন শাল ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। প্রতিটি তাঁতে দিনে ৫-৬টি শাল তৈরি করা যায়। শাড়ী ও শাল তৈরির প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। ডিজাইনের উপর ভিওি করে ৫৫ থেকে ৮০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন একজন তাঁত মালিক। সেখান থেকে মজুরি হিসেবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দিতে হয় শ্রমিককে।
তিনি আরোও জানান, এবার বাড়তি দাম দিয়ে শাল ক্রয় করছেন না কোনো মহাজন আর তাই শালের চাহিদা বাড়েনি। হাড় কাপাঁনো শীত থাকলে শালের ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়। আগামি বছর গুলোতে ব্যবসা কেমন হবে বলতে পারছিনা।
দু’সুতি পাইর, কিরকিরি, জরিমালা, মকমল, ভাষাবুটি, নয়নতারা বহুরুপিসহ হরেক রকম ডিজাইনের নকশি করা শাল তৈরি করে যাচ্ছেন এখানকার শাল তাঁতিরা।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...