০৪:১৪ পিএম | টাঙ্গাইল, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

হেমনগর জমিদারের উত্তরসূরি পৌলমী গাঙ্গুলিকে সংবর্ধনা

কে এম মিঠু | টাঙ্গাইল২৪.কম | বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | | ৩১২৯
, টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগরের বিখ্যাত জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরীর উত্তরসূরি দুই বাংলার নন্দিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. পৌলমী গাঙ্গুলিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

এ সময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ভারতের আরেক গুণি সঙ্গীত শিল্পী প্রায়াগ যোশী।

গোপালপুর প্রেসক্লাব ও আমরা গোপালপুরবাসী ফেসবুক গ্রুপ এর যৌথ আয়োজনে সোমবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার।

অনষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক বাণীতোষ চক্রবর্তী, ওসি মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, হেমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব, জমিদার পরিবারের শেষ নায়েব গনেশ চন্দ্র রক্ষিত, প্রবীণ শিক্ষক জোয়াহের আলী, আব্দুস সালাম মেম্বার, গ্রুপ এডমিন মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আনজু আনোয়ারা ময়না, কে এম মিঠু প্রমুখ।

পরে ওই দুই শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশনা শেষে হেমনগর জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যক্তিগত চরিত্রে জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরি বহু গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন। তিনি প্রচন্ড শিক্ষানুরাগী, সুন্দর শাসক, মানবতাবাদী সর্বোপরি ন্যায় বিচারক ছিলেন। প্রজাসাধারনের সুবিধার্থে তিনি রাস্তার মোড়ে মোড়ে কুপ র্নিমাণ এবং বহুসংখ্যক পুকুর খনন করেন। তিনি অত্যন্ত সৌখিন এবং সুন্দরের পুজারী ছিলেন। হেমনগরের প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক দৃশ্যের মধ্যে নির্মিত তার অপূর্ব কারুকার্যময় বাসভবন আজও তার সাক্ষ্য বহন করছে। হেমচন্দ্র চৌধুরি অত্যন্ত ধর্মভীরু হলেও ইসলামের প্রতি যথেষ্ঠে উদার ছিলেন।

হেমচন্দ্র চৌধুরীর পিতা কালিচন্দ্র চৌধুরী তদানিন্তন ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর থানার অর্ন্তগত আম্বারিয়া এস্টেটের জমিদার ছিলেন। জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী কালিচন্দ্র চৌধুরীর একমাত্র পুত্র সন্তান। তাছাড়াও কালিচন্দ্র চৌধুরীর তিন কন্যা সন্তান ছিল। জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী চার পুত্র ও চার কন্যার জনক ছিলেন।

হেমচন্দ্র চৌধুরী আম্বারিয়া হতে যমুনা নদীর পূর্বতীরে গোপালপুর থানার সুবর্ণখালী নামক গ্রামে দ্বিতীয় বাড়ী নির্মাণ করেন এবং সেখানে বসবাস শুরু করেন। সুবর্ণখালীতে দীর্ঘদিন বসবাস করার পর যমুনার নদীভাঙ্গনের কবলে পড়লে তিনি সেখান থেকে ১৮৯০ সালে বর্তমান অবস্থান শিমলাপাড়া গ্রামে নতুন বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। তার নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয় হেমনগর। ১৯০০ সালে হেমনগরে তাঁর বিমাতা মায়ের নামে প্রায় বিশ একর জমির উপর হেমনগর শশীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠায় দশজন দাতার তালিকায় হেমচন্দ্র চৌধুরীর নাম চার নম্বরে লিপিবদ্ধ আছে। হেমচন্দ্র চৌধুরী চট্রগাম জেলার সীতাকুন্ডে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি টাঙ্গাইলের ফৌজদারী উকিলবার প্রতিষ্ঠা করেন। গোপালপুর সূতী ভি এম পাইলট হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার সময় তিনি জমি ও অর্থ দান করেন। পিংনা হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায়ও তার সিংহ ভাগ অবদান রয়েছে। জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী ১৯৫২ সালে ভারতের কাশিতে মৃত্যুবরণ করেন।

এলাকার সংগ্রামী কৃষকনেতা হাতেম আলী খাঁনের নেতৃত্বে জমিদার বিরোধী আন্দলোন গড়ে উঠলে ১৯৪৬ সালে দেশ বিভাগের পূর্বেই বংশধরগণ স্থাবর অস্থার সম্পত্তি ফেলে রেখে কলকাতায় চলে যান। তার পরিত্যক্ত বাড়িটির আয়তন বড় দু’টি পুকুরসহ প্রায় ত্রিশ একর। জমিদারের পরিত্যক্ত বাড়ীতে ১৯৭৯ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থাপন করা হয় হেমনগর ডিগ্রী কলেজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

বাবার ভোট দিতে এসে ছেলে আটক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে সড়ক নির্মাণের ইটের খোয়ার স্তুপ মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃংখলা রক্ষা কাভার্ডভ্যান ও ট্রা‌কের মু‌খোমু‌খি সংঘ‌র্ষে নিহত ১, আহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে মাভাবিপ্ মির্জাপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আ.লীগ নেতাসহ আহত ৩ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সা'দত কলেজে পতাকা উত্তোলন করলো ছ টাঙ্গাইলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার   নাগরপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে আনোয়ার মোল্লাকে বিজয়ী করতে একাট্টা উপজেলা আ. কালিহাতীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত মির্জাপুরে বিল থেকে কঙ্গাল উদ্ধার গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঔষধসহ আটক ১ নাগরপুরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সম্পন মির্জাপুরে তীব্র পানির সংকট নিরসনে এমপি শুভর নলকুপ স্থা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি