দিন-রাত এক করে পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে স্বস্থি ফিরেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে। অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে মহাসড়ক। ছোটখাটো দূর্ঘটনা ছাড়া মহাসড়কে নেই কোন ঝটলা।
রোববার দুপুর থেকে মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকাই যানবাহন শূন্য লক্ষ করা গেছে। বেড়েছে যানবাহনের গতি।
মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় দেখা গেছে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল। তবে মহাসড়ক দিয়ে ঢাকামুখি যানবাহনের চাপ থাকলেও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনে নেই কোন বাড়তি চাপ।
সরজমিনে মহাসড়কে ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের মধ্যে চলছে চীরচেনা প্রতিযোগিতা। কে কার আগে গন্তব্যে পৌছতে পারে এ নিয়ে চলছে মৌনযুদ্ধ। মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বসে নেই জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরাসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এছাড়া এ মহাসড়কের ঢাকামুখি যানবাহনের চাপ গত চারদিনের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তৌফিক ইফতেখার বিন নাসির জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। ভোরে কিছু সময় মির্জাপুর থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হলেও এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চন্দ্র থেকে মির্জাপুর বাইপাস পর্যন্ত যানবাহন একটু থেমে থেমে চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ঢাকামুখি যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মহাসড়কের ঢাকামুখি যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে। চার লেনের সম্প্রসারন, কয়েকটি ফ্লাইওভারের কাজ, দূর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় মহাসড়কের মাঝে মাঝে মহাসড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তবে মহাসড়কের এ স্বস্থিকর যাত্রা অব্যাহত রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশের সদস্যরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...