ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন যায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বারি থেকে হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। তবে এতে কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।
টাঙ্গাইলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। তবুও ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবেলা এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জনসাধারণকে সর্তক করতে মাইকিং করে প্রচারণা করছে প্রশাসন। এছাড়া ফণীর দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলার প্রতিটি উপজেলায় পূর্বপ্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সব সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাকে যার যার এলাকায় থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, টাঙ্গাইলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। তবুও ফণীর আঘাতে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এলাকায় মাইকিং, কন্টোল রুম খোলা, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, শুকনো খাবারসহ ভলেন্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলার প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জেনারেটরের ব্যবস্থা, লেজার লাইটসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী-উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুরো জেলায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টিম প্রস্তত রয়েছে। যদি ফণীর আঘাতে টাঙ্গাইলে ক্ষয়ক্ষতি হয় তাহলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাৎক্ষণিক কাজ করবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...