টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক মরহুম ব্যারিস্টার শওকত আলী খানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়।
এ নিয়ে চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীতদের সংখ্যা হলো ১৩ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান।
মরহুম শওকত আলী খান ১৯২৬ সালে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারী পাস করেন।
তিনি হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং ১৯৭০ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আলোচনার পর তাকে বঙ্গবন্ধু নিজ এলকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ২৪ মার্চ তিনি নিজ গ্রাম লাউহাটীতে চলে আসেন। তিনি যুদ্ধের জন্য ভারত থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। পরে ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে গেরিলা বাহিনীর একটি কোম্পানিসহ দেশের ভেতরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর তিনি সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলের নাগপুর এবং মির্জাপুরের সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
এছাড়া শওকত আলী খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ২৯ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে গত রোববার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেবেন।
স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...