টাঙ্গাইলের বাসাইলে এসএসসি’র নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরজু জমাদারের এক লক্ষ টাকা ও তার সহযোগী বিয়ালা গার্লস স্কুলের অফিস সহকারী আব্দুর রহীমকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
জরিমানা অনাদায়ে সমিতির সদস্য পদ বাতিলের সীদ্ধান্ত নিয়েছে বাসাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। ১৩ অক্টোবর সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ জরিমানা ধার্য করা হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা সচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করতে সমিতির সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিক্ষা চলাকালে সমিতির ভাবমূর্তী নষ্ট ও অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিতে বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরজু জমাদার কাশিলের নবপ্রতিষ্ঠিত বিয়ালা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু হোসেন মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের অফিস সহকারী আব্দুর রহীমের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস করে পরিক্ষার নীতিমালা ভঙ্গ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাবমুৃর্তি নষ্ট করে। এতে বাসাইলে ব্যাপক সমালোচনার শুরু হলে বিষটি শিক্ষক সমিতির নজরে আসে এবং ফাঁসকারীদের ধরতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্ভন করে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সন্ধান পান।
পরে গত বুধবার এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিতে জরুরী সভা আহবান করে প্রশ্ন ফাঁসকারী বিয়ালা স্কুলের আব্দুর রহীমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আব্দুর রহীম লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের নিকট থেকে সংগ্রহ করেছে বলে জানায়।
পরে ১৩ অক্টোবর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ জরুরী সভায় অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় জুরি বোর্ডের মাধ্যমে আরজু জমাদারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয় এবং জরিমানা অনাদায়ে সমিতির সদস্যপদ বাতিল হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো: আরজু জমাদার জানান, আমি নির্দোষ, আমাকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান জানান, সে যে কাজ করেছে তা খুবই জগণ্য। এ কাজের জন্য সমিতি জরুরী মিটিং ডেকে তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর যাতে কেউ এধরনের কাজ না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...