টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কৃষকের পাঁকা ধান কেটে দেয়ার কথা বলে ক্ষেতে নেমে ছবি তুলে লাপাত্তা কৃষক শ্রমিকলীগের নেতারা-কর্মীরা। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খড়ক গ্রামের কৃষক আবুল কালাম ও তার ছেলে রাসেল। এতে ক্ষেতের পাঁকা ধান নষ্ট হয়ে ক্ষেতেই পড়ে থাকায় হতাশা প্রকাশ করলেও প্রতিবাদ করার সাহস হয়নি তাদের।
শুক্রবার (১ মে) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খড়ক গ্রামের কৃষক কালামের ৩০ শতাংশ জমির ধান পেঁকে গেছে। পরে পেঁকে যাওয়া ধান ছেলেকে নিয়ে কাটতে শুরু করেন কালাম। এমন সময় জমিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কৃষক লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও উৎসাহিত মানুষজন। যেন পঙ্গপালের মতো ধানের জমি সাবার করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা। এতে নেতারা কাঁচি হাতে নিয়ে অল্পসংখ্যক ধান কেটে ফটো তুলেন। নেতা-কর্মীরা চলে যাবার পর খড়কুটার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাটা ধানের গাছ। তবে অধিকাংশ আঁটিতে নেই অবশিষ্ট ধান। কাদামাটিতে অযতেœ পড়ে রয়েছে কৃষকের এতদিনের কষ্টের ধান।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খান বলেন, কিছু সময় যেতেই স্পষ্টতা পেল তাদের আসল উদ্দেশ্য। জমির আর্ধেক ধান কাটা শেষ হবার আগেই শুরু হয় ফটোসেশন। ফটোসেশন শেষ হওয়া মাত্রই তারা চলে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কৃষক বলেন, তারা আসে সরকারকে দেখানোর জন্য যে তারা ধান কাটছে। এছাড়া অন্যকিছু নয়।
কৃষক কালাম বলেন, নেতাকর্মী আসছিল অনেক কিন্তু তারাতো আর ধান কাটতে আসেনি তারা এসেছেন হুরহুরি আর পারাপারি করতে। এতে ক্ষেতের জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। পরে তারা চলে যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাকি ধান কেটেছি।
কৃষক আবুল কালামের ছেলে রাসেল বলেন, তারা ধান ক্ষেতে নেমে পড়ায় ধান ঝড়ে পড়ে গেছে। এছাড়া যে ধানের আটিগুলো ছিল সেগুলোও পাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ছবি তোলা শেষ হলে তারা যার যার মত চলে যায়।
উপজেলা কৃষক শ্রমিকলীগের সভাপতি হযরত আলী ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা ওই কৃষকের ধান কেটে আটি করে দিয়েছে। কোন ধান নষ্ট হয়নি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...