টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের অধ্যাপক ও উদীচী-টাঙ্গাইল জেলা সংসদের উপদেষ্টা শিবাজী দে পরোলোক গমন করেছেন (দিব্যান লোকান স্ব-গচ্ছতু)। পরলোকগমনকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শিবাজী দে শহরের প্যারাডাইস পাড়ার প্রয়াত ডাকসাইটে অ্যাডভোকেট তারা পদ দে’র ছেলে। তিনি টাঙ্গাইলে সরকারি কুমুদিনী কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। একই সাথে তিনি প্যাড়াডাইস পাড়া পুজা উদযাপন কমিটির সদস্য এবং সঙ্গীত শিল্পী ও লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি স্থানীয় সাপ্তাহিক লোকধারা পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, তিনি দীর্ঘদিন যাবত ডায়বেটিস, কিডনী ও লিভারজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হেপাটাইটিস সি ধারা পড়ে। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউ’তে নেওয়া হয়। তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তার মরদেহ ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের প্যারাডাইসপাড়ায় আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কাগমারী রাণী দীন মনি শ্মশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।
তার অকাল প্রয়াণে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিবারে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। তার অকাল মৃত্যুতে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা বাকশিস, উদীচী-টাঙ্গাইল জেলা সংসদ সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাপ্তাহিক লোকধারা পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...