রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪৬ জন পুড়ে মারা গেছে। এদের মধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের হতভাগ্য মেহেদী (২৮) রয়েছেন। তবে এ সময় তার ছোট ভাই ইস্রাফিল ওই ভবনে থাকলেও সে দৌড়ে ভবনের ছাদে উঠে প্রাণে রক্ষা পান। দুই ভাই মিলে ওই ভবনে ‘জুসবার’ নামে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে চাকুরী করতেন।
মেহেদী ও ইস্রাফিল উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে আইন আলীর ছেলে।
ঢাকা থেকে শুক্রবার দুপুর পৌনে বারোটার দিকে মেহেদীর মরদেহ দেওড়া গ্রামে এসে পৌছালে সেখানে শত শত মানুষ মেহেদীর মরদেহ এক নজর দেখতে ভীড় জমায়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
বাদ জু’মা দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ শেষে দেওড়া মধ্যপাড়া সামাজিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা, এ কে এম আলম সরোয়ার টিপু জানান, গত প্রায় তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ওই ভবনে ‘জুসবার’ নামে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে চাকুরী নেন মেহেদী। পরে তিনি তার ছোট ভাই ইস্রাফিলকেও সেখানে চাকুরী দেন। ভালভাবেই চলছিল তাদের সংসার। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের ওই ভবনের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অল্প সময়ে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মেহেদীসহ ৪৬ জন আগুনে পুড়ে মারা যায়। তবে মেহেদীর ছোট ভাই ইস্রাফিল দৌড়ে ওই ভবনের ছাদে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...