টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চাচার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ১০ ঘন্টাপর হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন ভাতিজা হারুন খন্দকার (৫০)। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় তার জানাজা শেষে উপজেলার গোবিন্দাসী কেন্দ্রীয় করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যুবরণ করেন। সে উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের আলহাজ আব্দুর রহমানের ছেলে। ওইদিন সকাল ৮টায় হারুনের চাচা আলহাজ আবুল হোসেন (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯ টায় চাচা আবুল হোসেনের মৃত্যুর খবরটি তার ভাতিজা হারুন খন্দকার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। বাদ যোহর নামাজ শেষে চাচাকে গোবিন্দাসী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করে সে। ওইদিন রাত ৮ টার দিকে বাজার থেকে ফেরার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হারুন খন্দকার।
এরপর প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা তাকে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হারুন খন্দকারকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং শুভাকাঙ্খী রেখে যান। সে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
হারুন খন্দকারের বড় ভাই হাকিম খন্দকার জানান, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন শুক্রবার সকালে চাচা আবুল হোসেনের মৃত্যু। রাত ৯ টার দিকে ছোট ভাই হারুন খন্দকার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধে হয়ে মারা যায়। শনিবার সকাল ১১ টায় তার জানাজা শেষে গোবিন্দাসী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে চাচার পাশেই তাকে শায়িত করা হয়।’
এদিকে, চাচা-ভাতিজার মৃত্যুতে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদারসহ অন্যান্যরা শোক প্রকাশ করেছেন।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন- ‘আলহাজ আবুল হোসেন ও তার ভাতিজা হারুন ভালো লোক ছিলেন। তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।’
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...