১১:১৩ এএম | টাঙ্গাইল, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

ধান-পাট ও রবিশষ্য আবাদে সফলতা

টাঙ্গাইলের যমুনার চরে বানভাসীদের সবুজের বিপ্লব

মোস্তফা কামাল নান্নু ও তোফায়েল আহমেদ রনি | টাঙ্গাইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭ | | ২০৭৩
, টাঙ্গাইল :

নদীর বুকে কোন চর জেগে উঠলে চোখে ভেসে উঠে ধু-ধু বালুচরের দৃশ্য। আর তা যদি হয় যমুনার বুকে তাহলেতো কথাই নেই। টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে যমুনার বুক চিরে জেগে উঠা বিশাল ধু-ধু বালুচরে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বানভাসী মানুষেরা। আর এই সবুজের বিপ্লব ঘটেছে বিভিন্ন ফসলের সফল আবাদের মধ্য দিয়ে।

বি¯িত্মর্ন এ চরে সবুজ ফসলের বিপ্লব ঘটিয়েছেন তারা। কৃষি বিভাগের সহযোগীতা বা পরামর্শ ছাড়াই শুধুমাত্র নিজেদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ৮-১০ ধরনের রবিশষ্যর আবাদ করছে এখানকার কৃষকরা। এছাড়াও বোরো ধান ও পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা কৃষি বিভাগকেও। কৃষকের এমন সাফল্যে খুশি হয়ে বিভিন্ন সহযোগীতা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার এমনটাই জানিয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা।

ভাঙ্গছে নদী, গড়ছে নদী এটিই নদীর চীর চেনা রুপ। আর এই রুপের সাথে প্রতিটি সময়ই যুদ্ধ করে চলছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা। এ ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটেনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘেষে বয়ে যাওয়া যমুনার ক্ষেত্রেও। তবে ভাঙ্গনে সব কিছু হারিয়েও আবার যুমনার বুকেই নতুন স্বপ্ন বুনছে বানভাসীরা। ভাঙ্গা গড়ার এ খেলায় জীবন যুদ্ধে মেতে উঠা সব হারানো বানবাসীরাও যে রাক্ষুসী যমুনার নির্দয় বুকে আঁকতে পারে সবুজের চিত্র এমনটাই প্রমান করে দিয়েছে ভূঞাপুরের চরাঞ্চলের মানুষেরা।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের যমুনার বুকে গত প্রায় ৪-৫ বছর ধরে জেগে উঠেছে চর । যা বর্তমানে বিস্তৃত লাভ করেছে শতশত একর পর্যন্ত। এর মধ্যে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কোনাবাড়ি ও চরতেতুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জমি জেগে উঠেছে। আর এ বিশাল চরেই বানবাসী মানুষেরা গড়েছে সম্ভাবনার নতুন সংসার। যেখানে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে।

সরেজমিনে যমুনার বুকে জেগে উঠা চর ঘুরে দেখা যায়, এখানে সরিষা, ভুট্রা, মশুর-খেসারী ও মাস কালাই, বাদামসহ অন্তত ১০ ধরনের রবিশষ্যের আবাদ হচ্ছে। সেই সাথে আবাদ হচ্ছে বোরো ধান, পাট ও আঁখ। অনেক পরিশ্রমের এ ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাছে বানভাসী কৃষকেরা।

খানুরবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ আকন্দ জানান, বর্ষা মৌসুমে এ চর পানির নীচে থাকার কারনে বালু মাটির উপর পলির স্তর জমে। যা ফসল আবাদের জন্যে খুবই উর্বর হয়ে উঠে। আর এই জমিতে আবাদ করে আমরা এখন খুবই লাভবান হচ্ছি।

জুলমত শেখ জানান, পানি নামার সাথে সাথে জমির মালিকরা অস্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি নির্মান করে। সেখানে গবাদি পশুও চড়ানো হয়।

আবার দুইএকজন কৃষকের অভিযোগ স্থানীয় কৃষি বিভাগের লোক এখন পর্যন্ত তাদের সহযোগীতা বা পরামর্শ দিতে আসেনি। মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তার দেখা পাননি তারা। নিজেদের চেষ্টায়ই তারা সফলতা এনেছে। শুষ্ক মৌসুমে কৃষি বিভাগ যদি গভীর নলকুপ বা অন্যকোন উপায়ে সেচের ব্যবস্থা করে তাহলে যমুনার এই বালুচরে ফসলের বিপ্লব ঘটানো অসম্ভব কিছুইনা বলেও দাবি করেছে তারা।

এদিকে ভূঞাপুরের চরাঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাশিম জানান, বিস্তির্ন চরের বানভাসী কৃষকের এমন সাফল্যে খুবই খুশী কৃষি কর্মকর্তারা। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে হয়ত স্থানীয় মাঠকর্মীরা ওইসব এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেনা বলেও দাবি তার।

তবে কৃষকের এমন সাফল্যে খুশী কৃষি বিভাগ। যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন প্রকল্প ও জাতীয় কৃষি প্রকল্পের আওতায় এনে চরাঞ্চলের এসব কৃষকদের সহযোগীতার আশ্বাসও দেন তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

নাগরপুরে খাদ্যভিত্তিক পুুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক প্রশি করটিয়া হাটে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন বাবা ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ নেতা গোপালপুরে হিটস্ট্রোকে চা বিক্রেতার মৃত্যু  নাগরপুরে বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত  হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির মওলানা ভাসানীর মাজারের দানবাক্সে মিলল ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ট কাগজপত্র সঠিক না থাকায় ৩ বাসের জরিমানা মির্জাপুরে রাজশাহী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি