০২:৫০ পিএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

জাহাজমারা দিবস : মুক্তিযুদ্ধের ‘টার্নিং পয়েন্ট’

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ | |
, টাঙ্গাইল :

আগামীকাল (১১ আগস্ট) ঐতিহাসিক জাহাজমারা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। পাকিস্তানিদের জাহাজ আক্রমণ করে দখল নেওয়ার এ দিনটিকে “মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট” হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মারণাস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ও রসদ নিয়ে সাতটি যুদ্ধজাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু সেগুলোকে আটকে দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনীর সাহসী কোম্পানি কমান্ডার হাবিবুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের যমুনা-ধলেশ্বরী নদীপথের মাটিকাটা এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন এই বীর সেনানী।

দূরদর্শী এই সাহসী যোদ্ধা অল্প কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে প্রাণপণ লড়াই করে পাকিস্তানি বাহিনীর দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ “এস ইউ ইঞ্জিনিয়ার্স এল সি-৩” এবং “এস টি রাজন” ধ্বংস করে দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই সাফল্যে উত্তরবঙ্গকে ঘিরে পাকিস্তানিদের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে অন্য কোথাও এত বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি।

জাহাজগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন ২১ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ হাতে পেয়েছিলেন।

এই যুদ্ধজাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের জন্য মরিয়া ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী। দিশেহারা পাকিস্তানি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি ও ব্রিগেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেড, ৫১ কমান্ডো ব্রিগেড ও বিমান বাহিনীর দুটি এফ-৮৬ জেট বিমান মুক্তিবাহিনীকে চারদিক দিয়ে আক্রমণ করে।

তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্ব পাকিস্তানি বাহিনীকে আবারও পিছু হটতে বাধ্য করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী অধ্যায় বা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার হাবিবুর রহমানের বলিষ্ঠ সাহসিকতা ও নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘‘বীরবিক্রম’’ ও ‘‘জাহাজমারা হাবিব’’ উপাধিতে ভূষিত করে।

সেই যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক জুলফিকার হায়দার বলেন, “জাহাজমারার ঘটনাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মরণীয় অধ্যায়। ওই দিনের ঘটনায় আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে।”

জাহাজমারার ঐতিহাসিক যুদ্ধের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সিরাজকান্দিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে অযত্ন-অবহেলায় থাকা স্মৃতিস্তম্ভটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সেই সাহসিকতার স্মৃতি আজ মলিন হতে বসেছে। দ্রুত স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারের দাবি জাহাজমারা হাবিবের স্বজন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। দিবসটি স্মরণে জাহাজমারা হাবিব পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি