টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অসুস্থ্য হয়ে কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালের ব্রীজের উপর শুয়ে কাতরাচ্ছে অজ্ঞাত বৃদ্ধটি (৭০)। ৬-৭ দিন যাবৎ বৃদ্ধটি গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রবেশের দ্বিতীয় ব্রীজের উপর বিনা চিকিৎসায় সেখানে পড়ে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ ) ব্রীজের উপর অসহায় অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়দের ধারনা, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি হয়ত চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে হাসপাতালে প্রবেশের দ্বিতীয় ব্রীজের উপর শুয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন যাবত ওই ব্যক্তি একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে হাসপাতালের ব্রীজের উপর দিনরাত শুয়ে দম আছে। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলেও তিনি কিছু বলতে পারছে না। এসময় মশা ও মাছি তার শরীর কামরাচ্ছে। মশা ও মাছির হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি একটা চাদর গায়ে জড়িয়েছেন। তাতেও মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। বৃদ্ধের এমন চিত্র দেখে স্থানীয় সাংবাদিক কেএম মিঠু একটি ছবি তুলে কর্তৃপক্ষের আকর্ষণ করতে "আমরা গোপালপুরবাসী " নামের ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট করেন। এরপরই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
গোপালপুর হাসপাতাল সংলগ্ন চা স্টল ও ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন ধর হাসপাতাল ব্রীজের উপর বৃদ্ধটি মূমূর্ষ অবস্থায় পড়ে আছে। কোথা থেকে এসেছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় সাংবাদিক কেএম মিঠু বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতাল এলাকায় গেলে সেখানকার এক চাস্টলের দোকানদার অসহায় ওই বৃদ্ধের কথা জানান। হাসপাতালের সম্মুখের ব্রীজের উপর গিয়ে দেখি যন্ত্রনায় ওই বৃদ্ধ ব্রীজের উপর শুয়ে কাদরাচ্ছে। এসময় বৃদ্ধটিকে মাছি ও মশা কামরাচ্ছে। বৃদ্ধটি একটি চাদর গায়ে দিয়ে জরোসরো হয়ে শুয়ে আছে। তবে তিনি কোন কথা বলতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করেছি তার নাম ও পরিচয় জানতে। কিন্তু তিনি কোন কথা বলতে পারছেন না। মনে হয় তিনি একজন প্রতিবন্ধী। চিকিৎসার জন্যই হয়ত হাসপাতালের সামনে এসেছে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে পড়েনি। ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়েছিল কিনা সেটার তথ্য সঠিক না। হাসপাতালের মুল গেটের সামনে নয়। এটা মুল গেটের পাশের আরেকটি গেটের ব্রীজের উপর বৃদ্ধটি শুয়ে আছে যেটা ফেসবুকে দেখেছি। ওই গেটটি বন্ধ থাকে সব সময়। তারপরও বিষয়টি দেখা হবে।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো পারভেজ মল্লিক বলেন, বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের ইউএইচএফপিওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...