কৃষকদের হাজার হাজার একর আবাদি ও ফলসি জমি কেটে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং শাসন কাজের কর্মযজ্ঞ বন্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ আলোচনা সভা করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক পরিবার। প্রতিবাদ সভায় যমুনা ড্রেজিং হলে জ্বলবে আগুন চরাঞ্চলে, রক্ষা কর রক্ষা কর, বাপ দাদার পৈত্তিক সম্পতি রক্ষা কর, অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করো করতে হবে, বাপ দাদার পৈত্তিক সম্পতি খনন করতে দেওয়া হবে না হবে না এসব শ্লোগান ও শিক্ষার্থীরা হাতে লেখা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানান অংশগ্রহণকারীরা নিরহ কৃষকরা।
আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রেহাইগাবসারা চরাঞ্চলের ড্রেজিং এলাকায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। এতে অংশ নেয় চরাঞ্চলের ছাত্র, যুবক, কৃষকসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ। এসময় ফসলি জমি রক্ষায় ও অপরিকল্পিত নদী খনন এবং শাসন কাজ নিয়ে প্রতিবাদ আলোচনা সভা করেন চরাঞ্চলবাসীরা।
চরাঞ্চলের ফসলি জমি রক্ষায় অপরিকল্পিত নদী খনন ও শাসন কাজ বন্ধের প্রতিবাদ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক মিঞা, আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদুল ইসলাম শাপলা। এছাড়াও স্থানীয় আব্দুস ছালাম, ফজলু মুন্সী, আমীর আকন্দ প্রমুখসহ অন্যারাও বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ আলোচনা সভায় বক্তব্যরা বলেন- অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করা হচ্ছে এতে হাজার হাজার কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। 'যমুনা নদী খননের জন্য ফসলি জমির উপর লাল নিশান লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে আমাদের চরাঞ্চলের কৃষদের বুকের ওপর দিয়ে খনন করার পায়তারায় মেতে উঠেছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী দালালরা। যার ফলে হাজার হাজার একর পৈত্তিক আবাদি ও ফসলি জমি এবং বসতভিটা নদীগর্ভে হারিয়ে পথে বসে যাবে চরাঞ্চলের অসহায় কৃষকরা।
এছাড়া নদী পাড়ের ফসলি জমিও ভাঙনের কবলে পড়বে। এভাবে অপরিকল্পিত ড্রেজিং করলে চরাঞ্চলের মানুষ বসবাস করতে পারবে না। তাই ফসলি জমি রক্ষায় অপরিকল্পিত নদীতে ড্রেজিং বন্ধ করতে হবে’। যদি ড্রেজিং বন্ধ না হয় তাহলে আর কোন কর্মসূচী নয়, সরাসরি ড্রেজিং মেশিন জ্বলিয়ে পুড়িয়ে দেয়াসহ ড্রেজার উচ্ছেদ করবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...