টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাদিয়াজান এলাকায় গ্রাম্য সালিশে কাপড় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার ঘটনায় দুই ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাসাইল থানায় ওই ব্যবাসায়ীর বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭/৬২ তারিখ: ২৩.১০.২০২০ইং।
মামলায় আসামীরা হলেন কাউলজানী ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন (ছরোয়ার) (৪০) ও মনিরুজ্জামান (মনির) (৩৫), উপজেলার বাদিয়াজান গ্রামের শফিক (৩৬), আজিবর (৪৫), মিন্টু মিয়া (৩৫), সেকান্দার (৫০) এবং হানিফ (৩০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী গত রোববার সন্ধ্যায় পাশ^বর্তী বাদিয়াজান উত্তর পাড়া গ্রামের গৃহবধু বিষ্টি আক্তারের শশুর বাড়ি পাওয়ানা টাকা চাইতে যায়। এ সময় কতিপয় ব্যক্তি তাকে ঘরের ভিতর জোড় পূর্বক আটকে রেখে মারপিট করে। পরের দিন গ্রাম সালিশ বসিয়ে ওই কাপড় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টাকা দেওয়ার শর্তে রতনের বাবা মোশারফ হোসেনেরে নিকট জোড় পূর্বক সাদা (অলিখিত) স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে ওই দুই ইউপি সদস্যরা মোটা অংকের টাকার জন্য রতনের বাবা মোশারফকে চাপ দিতে থাকে।
এ ব্যাপারে কাউলজানী ২নং ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন (ছরোয়ার) মোঠফোনে বলেন, আমি কারো কাছে কোন প্রকার টাকা চাইনি। আমি পরিস্থিতির স্বীকার। প্রতিবেদক দেখা করতে চাইলে তিনি পাশ^বর্তী উপজেলা কালিহাতীতে রয়েছেন বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে কাউলজানী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি চৌধুরী বলেন, সালিশের নামে অর্থ আদায়ের কোন বিধান নেই। এছাড়া তরিঘরি করে ওই গৃহবধুকে তালাক দেওয়ার জন্য বাধ্য করা আইন সম্মত হয়নি।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...