টাঙ্গাইলে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে প্রধান গো খাদ্য খড়ের দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় হতাশ খামারী ও প্রান্তিক গরুর মালিকরা। ফলে বাধ্য হয়ে গরু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
সরেজমিনে, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে গোবিন্দাসী খড় হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি আটি খড়ের দাম বিক্রি করা হচ্ছে ১৬-১৮ দরে। আর লোকাল মোটা এক বোঝা খড় ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এক কেজি খড়ের দাম গড়ে ৩০ টাকা পড়ছে। হাটে দিনাজপুর ও নওগাঁ অঞ্চলের খড়ের চাহিদা রয়েছে। মোকাম থেকেই খড় বেশি দামে কিনতে হয়। বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
হাটে খড় কিনতে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে ৪টা গরু ছিল। কিন্তু দীর্ঘ বন্যায় চরাঞ্চলসহ আশপাশের এলাকা তলিয়ে ছিল। এতে গো খাদ্যে চরম সংকট দেখা দেয়। অন্য প্রধান খাদ্য খড়ের দামও বহুগুনে বেড়ে গেছে। এতে বাধ্য হয়ে একটা গরু রেখে বাকি গরুগুলো কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি।
হাতেম আলী বলেন, আগে খড় দুইশ টাকা দিয়ে একশ আটি খড় কিনতাম। এখন ১৬শ টাকা দিয়ে একশ আটি কিনতে হচ্ছে। এছাড়া কাচা একশ খড় বিক্রি করা হচ্ছে ৬শ টাকা।
খড় বিক্রেতা ঈমান আলী বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে সব জায়গায়। দিনাজপুর ও নওগাঁয় থেকে খড় কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি। মোকামেও খড়ের দাম বেশি। এখন যে সংকট দেখা দিয়েছে সেটা আরো বেশি সংকট দেখা দিবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: স্বপন কুমার দেবনাথ বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে এমন সংকট তৈরি হয়েছে। প্রাণিসম্পদ থেকে খামারী ও প্রান্তিক গরুর মালিকদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রাস্তার ধারে বা ফাঁকা জায়গায় ঘাসের কাটিং লাগানো ও সংকটময় সময়ে গরুকে গমের ভুষি খাওয়ানোর জন্য বলা হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...