০৮:৪৪ পিএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

টাঙ্গাইলে বন্যায় মৎস্য চাষীর মাথায় হাত

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট ২০২০ | |
, টাঙ্গাইল :

চলতি বন্যায় টাঙ্গাইলের ১১ উপজেলার ৪৬৮০ জন মৎস্য চাষীর মাথায় হাত পড়েছে। অতি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ১৫৩৮.৩৮৬০ হেক্টর আয়তনের ৫ হাজার ৩২৭ টি পুকুরের মাছ। এতে মৎস্যচাষীদের ২৬ কোটি টাকার উপরে অবকাঠামোসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে মহাবিপদে রয়েছেন খামারীরা। তারা এখনো পাননি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।

জেলা মৎস্য অফিস জানায়, বন্যায় ১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে, যার দাম ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এদিকে ১ কোটি ৭৫ লাখ মাছের পোনা ভেসে গিয়েছে। যার দাম ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৫২ টাকার টাকার। 

এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৩৯ জন খামারীর ১৭৪ পুকুর তলিয়ে ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার, মির্জাপুরের ৭৪ খামারীর ৭৪ পুকুর তলিয়ে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার, দেলদুয়ারের ১৪০ মৎস্যচাষীর ১৯৩ পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৭ লাখ,  মধুপুরের ২৫ চাষীর ৩০ পুকুর তলিয়ে ৫২ লাখ, গোপালপুরের ১১৫ মৎস্যচাষীর ১১৫ পুকুর তলিয়ে ৬৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, নাগরপুরের ৫৭০ মৎস্যচাষীর ৭৯৫ পুকুর তলিয়ে ৫ কোটি ১৭ লাখ, বাসাইলের ২৭৬ মৎস্যচাষীর ২৭৬ পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৭৭ লাখ,  ভূঞাপুরের ৩০৮ চাষীর ৩৩০ পুকুর তলিয়ে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, কালিহাতীর ২ হাজার ৫৭০ চাষীর ২ হাজার ৭৪৮ পুকুর তলিয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ, ঘাটাইলের ৩৬৯ চাষীর ৪৪০ পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ও ধনবাড়ীর ১০২ চাষীর ১৪৯ পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সখীপুর উপজেলার কোন পুকুর বন্যায় তলিয়ে ক্ষতির শিকার হননি মাছ চাষী।

কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মুক্তার আলী নামের এক মৎস্য চাষী বলেন আমি অন্যের পুকুর বছর ভিত্তিক ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এবারের বন্যায় আমার ৩ টি পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। আমার এই ক্ষতির জের যে কত দিন টানতে হবে সেটা আল্লাহ জানেন?

মুক্তার আলীর মতো আরো অনেক ক্ষতিগ্রস্থ চাষী বলেন একদিকে করোনা ভাইরাসে ব্যবসা বাণিজ্য নেই। এর উপর বন্যায় একেবারে শেষ করে দিলো। আমাদের পথে বসার পরিস্থিতি হয়ে গেছে। সরকারের কাছে প্রান্তিক চাষীরা অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের যেন আর্থিক সাহায্য করে তাদের বাাঁচয়ে রাখেন।

এদিকে বিবিন্নস্থানে ঘুরে দেখা যায় বন্যার নতুন পানিতে ধর্ম জাল, কারেন্ট জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের হিড়িক পড়ে গেছে। যে মাছ গুলো ধরা পড়ছে সেগুলো অধিকাংশই তলিয়ে যাওয়া পুকুরের চাষের মাছ। সেই মাছ মেরে অনেকে আবার বিক্রিও করছেন। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, এবারের বন্যায় টাঙ্গাইলে ২৬ কোটি টাকার উপরে মৎস্য খাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক খামারি ঋণ করে মাছের ব্যবসা করছেন। তদের একেবারে সর্বনাশ। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সরকারি আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এই কর্মকর্তা আরো বলেন খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগতসহ সার্বিক সাহায়্য করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মারধরের হু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত এসআই : গ্রেফতার ১৬ মির্জাপুরে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ এক পরিবারের ৪জন আহ মির্জাপুরের বাঁশতৈলে ৮টি অবৈধ কয়লার চুল্লি ধ্বংস ধনবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত চলন্ত ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যাত্রীর মর‌দেহ উদ্ধার নাগরপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দিলেন তারানা হালিম বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ৩কোটি টাকার টোল আদায় ''মানুষের কল্যাণে মানুষ'' ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্র ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার এলাকা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বা ফুড টেকনো ঈদের বাজার নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবে না মেহেদী ৩২ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহ পীর শাহজামান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফ

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি