বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল লাইনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা। রোববার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টাঙ্গাইল২৪.কম কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) বীচ-ম্যানহোল হতে ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত ল্যান্ড ফাইবার ক্যাবল ও তৎসংলগ্ন পাওয়ার ক্যাবল কুয়াকাটার আলীপুর বাজারের সন্নিকটে একটি বেসরকারী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দ্বারা আকস্মিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। আজ দুপুরে এ সমস্যা হওয়ার পর মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরো জানান, দেশে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় অর্ধেক দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে সরবরাহ করা হয়। ওই লাইন বন্ধ থাকায় সারা দেশে গ্রাহকরা ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন। সাবমেরিন ক্যাবল পুণরায় মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ক্যাবল মেরামতকালীন সময়ে সম্মানিত গ্রাহকগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দু:খিত বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উ্ল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।
দ্বিতীয় এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পায় বাংলাদেশ।
সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়ে থাকে যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সরবারহ করে থাকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...