টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্য়ালয় থেকে ভূয়াযুগ্ম সচিব প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ২ জন আটক।
বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ও ১৮৯ এর ধারা লংঙ্গনের দায়ে প্রতারক আশরাফ আলী খান কে ১ বছরের কারাদন্ড এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারা লংঙ্গনের দায়ে প্রতারক সহযোগী মুমিন আকন্দকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে টাঙ্গাইল করাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাদন্ডরা হলেন দিনাজপুর জেলার খানসাবা উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. আশরাফ আলী ও গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর খইবাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মুমিন আকন্দ (৩৪)।
বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার বলেন, মো. আশরাফ আলী বিভিন্ন চাকুরী প্রত্যাশীদের প্রতারন করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন সে নিজেকে যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে চান।
গনশুনানী চলার সময় তিনি নিজেকে যুগ্মসচিব পরিচয় দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের সন্দেহ হয়।
পরে তারা তাকে বসতে বললে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে যান এক পর্যায়ে গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের হুমকী ধামকী প্রদান করেন।
পরে জোর করেই জেলা প্রশাসকের কক্ষে গিয়ে অনংলগ্র আচরন করেন। জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হলে জেলা প্রশাসক পুলিশকে ডাকেন এবং তার কর্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তাদের ডাকেন।
পরে এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এবং টাঙ্গাইল সদর থানার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই প্রতারক চক্রের মুখোশ বেরিয়ে আসে।
বাইরে অপেক্ষামান প্রতারক সহযোগী মুমিন আকন্দকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে আশরাফ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকুরীর কথা বলে টাকা নেয়।
প্রতারক তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে তিনি আশরাফের সাথে গিয়েছেন।
এবং একেক জায়গায় একেক পরিচয় কখনো যুগ্মসচিব কখনো বিচারপতির ভাই, কখনো রাজনৈতিক নেতার এপিএস পরিচয়ে চলতো তাদের পরিচয়।
তিনি আরো বলেন, তার এক আত্মীয় কাছ থেকে চাকুরীর জন্য দুইলক্ষ টাকা ইতিমধ্যে আশরাফকে দিয়েছেন আরো এক লক্ষ টাকা দিতেন। দেয়ার উদ্দেশ্যে এই এক লক্ষ টাকা মুমিন আকন্দ এর কাছ থেকে জব্দ করা হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...