পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে টাঙ্গাইলের এলানজানি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সদরসহ উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নওগা এলাকায় এ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার অবহিত করলেও প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন কাজ চলমান ছিলো। শুকনো মৌসুমে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ কবিরুজ্জামান ডল জানান, বন্যার শুরু থেকে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত কয়েকদিন যাবত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বস্তা ফেললেও তা পানির স্রোতে ভেসে যায়। পরে বুধবার ভোরে বাঁধ ভেঙ্গে ওই এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ও বল্লা ইউনিয়ন এবং বাসাইল উপজেলার ফুলকি ও কাশিল ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঘারিন্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আ. বারেক জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে প্রায় দুইশ ফুট বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। আস্তে আস্তে ভাঙ্গার পরিধিও বাড়ছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মতো কাজ করলে বাঁধটি রক্ষা করা যেতো। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা বাঁধের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওই বাঁধে গত চার পাঁচদিন যাবত কাজ চলমানছিলো। গত রাতেও ১১ টা পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে। পরে রাত তিনটায় বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...