টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ওই ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা বর্ন্যাতরা পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করায় বন্যায় কবলিত হয় ওই তিনটি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। বন্যার পানি বসতবাড়িতে প্রবেশ করায় প্রায় ১০দিন পানিবন্দি ছিল তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ত্রাণ সহায়তা পায়নি বর্ন্যাতরা। যদিও বর্ন্যাতদের জন্য গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদে ৪০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণ হলেও তা পায়নি বর্ন্যাতরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যায় কবলিতরা।
কষ্টাপাড়া গ্রামের মতি লাল জানান, অনেকদিন ধরেই পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করলেও এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি। শুনেছি চাল এসেছে ইউনিয়ন পরিষদে। কিন্তু আমরাতো পেলাম না।
বন্যা কবলিতরা জানান, যমুনা নদীর পানিতে গৃহবন্দি হলেও কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। ত্রাণতো পরের কথা। ত্রাণ বর্ন্যাতদের জন্য বরাদ্দ হলেও তারা পায়নি।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনির বলেন, শুনেছি ইউনিয়ন পরিষদে বর্ন্যাতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ হয়েছে। বিতরণও হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিতরা ত্রাণ সহায়তা পায়নি।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বলেন, বর্ন্যাতদের জন্য ৪টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি তবে এখনও উত্তোলণ করা হয়নি। বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলণের পর আগামী সোমবার স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন বলেন, গোবিন্দাসীতে বর্ন্যাতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্ন্যাতরা ত্রাণ না পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তারপরও সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে সাথে কথা বলে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...