০৩:৫৬ পিএম | টাঙ্গাইল, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া

গরীবের ডাক্তার সি আর দাসের স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিস্তম্ভের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার | টাঙ্গাইল২৪.কম | শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ | |
, টাঙ্গাইল :

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এমন কথা এখন কাল্পনিক বলেই মনে হয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষের হৃদয়ে মায়া মমতা বিবেক জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি না করতো তবে এসব কথা ইতিহাসের পাতায় আসত না। আর এ মূল্যবান কথাটির যথার্থ খুজে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের গরীবের ডাক্তারখ্যাত বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা.চিত্ত রঞ্জন দাসের জীবন আদর্শে। 

যার মৃত্যুতে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলার খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। যিনি এলাকার সাধারন মানুষের কাছে সি আর ডাক্তার নামে পরিচিত ছিলেন। গত ২০ জুন হঠাৎ বুক ব্যাথা দেখা দিলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাহ করা হয়। যিনি পাস করা ডাক্তার না হয়েও শুধুমাত্র প্রশিক্ষন গ্রহন করে মানুষকে সেবা দিয়ে তাদের কাছে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন গরীবের ডাক্তার। গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। 

তাদের দাবী গবীরের ডাক্তারের ( সি আর ডাক্তার) স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হোক । 

এলাকাবাসী জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সি আর ডাক্তার উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঘুনিপাড়া গ্রামের মৃত মতিলাল দাসের ছেলে। তিনি ১৯৫৪ সালে এই গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে এস এস সি পাস করে ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষন শেষে কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর সরকারী বন বিভাগে ফরেষ্টার হিসাবে যোগদান করেন। চাকরী ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন ঢাকার মামা বাড়িতে। ওই সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যক্ষা বিভাগে ৬ মাসের জন্য প্রশিক্ষন নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসেন। সে সময় সলিমাবাদে একমাত্র ডাক্তার ছিলেন দাদু লাল বিহারী দাস (মায়ের বাবা)। লাল বিহারী দাসের কাছ থেকে হাতে খড়ি হিসেবে বিভিন্ন প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষন নেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তেবারিয়া জনতা কলেজ থেকে এইচ এস সি ও পরে নাগরপুর সরকারী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। 

তেবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ বলেন, প্রায় ৪ যুগ ধরে তেবাড়িয়া গ্রাম সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন চিত্তরঞ্জন দাস। উপজেলার ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সী মানুষের কাছে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। গরীব-অসহায় মানুষকে বিনা ফি’তে চিকিৎসা দিতেন। এজন্য এলাকার মানুষ তাকে গরীবের ডাক্তার হিসেবে সম্বোধন করতেন। উনি এলাকার মানুষের কাছে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে এলাকায় কোনো এমবিবিএস ডাক্তার চেম্বার খুললেও বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি। কারন রোগীরা পল্লী চিকিৎসক সি আর ডাক্তারকে বাদ দিয়ে এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে যেত না।

সলিমাবাদ সহ উপজেলাবাসীকে ১৯৭৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত বিনামুল্যে ফ্রি চিকিৎসা দিয়ে গেছেন সি আর ডাক্তার।

আপনার মন্তব্য লিখুন...

এক স্কুল থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল জমজ দুই বোন নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাজপথে, প্রতিবাদ মানববন্ধন গোপালপুরে পরিবহন শ্রমিকদের ডাটাবেজ বা নিবন্ধন তৈরি শুরু মির্জাপুরে ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন টাঙ্গাইলবাসীর বোবা কান্নার ২৮ বছর ডিএনএ দিবসে মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দেয়ালিকা প্রদর্ মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এসএসসি-২০২৪ সাফল্য শতভাগ লোকমান ফকির কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা ঋণ খেলাপি দায়ে ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন ও সালাউদ্দিনের ম কালিহাতী পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  ধনবাড়ীতে ১৯ হাজার ৪২৩ ভোট বেশি পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্য শেখ হাসিনা সরকার কৃষিকে যন্ত্রিকীকরণ করেছে : খান আহমেদ মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফল প সর্বজনীন পেনশন‌ প্রজ্ঞাপন‌ বাতিলের দাবিতে মাভাবিপ্রবি শ ঘাটাইলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বহন ক

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি