টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শুকুর মামুদ ও মহিলা মেম্বার কামরুন নাহার কুরুয়া গ্রামের জীবিত পুষ্প বেওয়ার নামে মৃত্যু সনদ করে ওই মৃত্যু সনদ স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়ে ওই মহিলার বিধবা ভাতার কার্ড মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বিল কাচিনা গ্রামের মোসাম্মৎ মালেকা বেগমের নামে প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে (২০ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী পুষ্প বেওয়া। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বলেন, এটি সংশোধন করে দেয়া হবে। সংবাদ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন বিষয়েটি নিয়ে সমাধানের প্রক্রিয়া হচ্ছে।
মহিলা মেম্বার কামরুন নাহার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমার ভুল হয়েছে। ওই মহিলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন। অভিযোগ বিবরণে জানা যায় মালতি গ্রামের জীবিত রবিউলকেও মৃত্যু সনদ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুষ্প বেওয়া বলেন, তার নামে বিধবা ভাতার কার্ড ইস্যু করে নিয়মিত ভাতার টাকা তুলে আসছেন। তিনি সম্প্রতি ভাতার টাকা তুলতে যান নারান্দিয়া জনতা ব্যাংকে।
এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানান, পুষ্প বেওয়া নামের ব্যক্তি মারা গেছে। তার স্থলে এ কার্ড বিলকাচিনা গ্রামের মোসাম্মৎ মালেকা বেগমের নামে ইস্যু হয়েছে। এ সময় তিনি নিজেকে জীবিত দাবি করে বলেন, আমি মারা গেলে এখানে সশরীরে উপস্থিত হলাম কী করে। ভাতা প্রদান বইয়ের ছবির সঙ্গে আমার চেহারা মিলিয়ে নিন। আমিই সেই ব্যক্তি। তার এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে সমাজসেবা অফিস থেকে ঠিক করে আনতে বলে বিদায় করে দেন।
বিষয়টি এলাকায় মাতব্বরদের জানালে তারা বিষয়টি কালিহাতী উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানান সবার নজরে আসে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তার নজরে এলে তিনি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান ভুলক্রমে এমনটি হয়েছে।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা জানান, সমাজসেবা কর্মকর্তার নিকট জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...