ফজরের নামাজ আদায় করে ভোরে বাসস্ট্যান্ডে এসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঠকের কাছে পত্রিকা পৌছনো তার নিত্যদিনের কাজ। বাড়তি কিছু রোজগার করার আশায় আগে ভ্যানরিক্সা চালাতেন। বিশেষ কারণে রিক্সাটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। করোনা সংকটের এই ঝুঁকির মধ্যে ওই বাড়তি সময়টাকে তিনি বেছে নিয়েছেন মানব সেবা হিসেবে।
বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়া পথচারী ও ছোটখাটো যানবাহনে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো, সাবান পানিতে হাত ধোয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। মৌখিকভাবে সচেতন করছেন। একদম নিজের টাকায় কেনা সাবান, জীবানুনাশক দিয়ে করোনা সংকটের সময়ে এ রকম কাজে তাকে ছেলেসহ স্থানীয় কিশোর কিশোরীরা সহয়তা করছে।
দুইদিন আগেও একজন সংবাদপত্র সেবক হিসেবে নিজের পরিবারের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা গ্রহণ করা এই মানব দরদি মানুষটির নাম শহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ মুন্সি।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের এক সময়কার বাসিন্দা সহিদ মুন্সি এখন মধুপুর পৌর এলাকার কাইতকাই গ্রামের নাগরিক। বাবা সাহেব আলী গত হয়েছেন বেশ আগে। চার সদস্যের সংসারে তিনিই একমাত্র আয় উপার্জনকারী।
নি¤œ আয়ের মানুষ হিসেবে তার এমন কাজে স্থানীয়রা বেশ প্রশংসা করছেন। ফেইসবুকে তার আইডিতে ছেলে এমন কাজের ছবি আপলোড করায় প্রশংসার বয়ান পাচ্ছেন দূর দূরান্তের অনেকের কাছ থেকে।
মধুপুরের এক সেনা সদস্য দেশের এক প্রান্তে কর্মরত, সেখান থেকে তিনি প্রশংসা করেছেন। সহিদ মুন্সি এমন প্রশংসায় পথচারীর হাত ধোয়া, যানবাহনে স্প্রে ছিটানোর গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানান- আমার এ কাজে যারা করোনা সংকটে সরকারি নির্দেশনা মানছেন না, তাদের কাছে শঙ্কার বার্তা পৌছানো। সারা বিশ্বের খবর সংবলিত পত্রিকা বিলি করে বর্তমান করোনা সংকটের চিত্র একবার পাঠকদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। পরে আবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আমাদের জন্য হয়ত ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে এমন সতর্ক বার্তা পথচারীদের দিয়ে করণীয় বিষয়ে সচেতন করছেন পত্রিকার হকার সহিদ মুন্সি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...