করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে জনমনে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরত মানুষের সমাগমে অরক্ষিত হয়ে উঠছে নাগরপুর। আর ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরতদের অবাধে নাগরপুরে ঢুকতে দেওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে থানা পুলিশের ভূমিকা।
উপজেলার সবগুলো প্রবেশপথে চেকপোষ্ট থাকলেও সেখান দিয়ে মানুষ জন নাগরপুর উপজেলায় ঢুকে পড়ায় এনিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া যারা ইতি মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে নাগরপুরে ঢুকে পড়েছে তাদের বিষয়ে তথ্য দিলেও পুলিশের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেই ক্ষোভের সূরে জানিয়েছেন।
আইন অমান্য করে লোকসমাগম (পাবলিকগ্যাদারিং) সৃষ্টি করার খবর ফোনে জানালে ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছেনা বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান,করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব, জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রথম দিকে পুলিশের ভূমিকা থাকলেও এখন তা তাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এতে করে পাড়া মহল্লায় লোকসমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে করোনা ঝুকিতে পড়ছে পুরো নাগরপুর উপজেলা।
ইতিমধ্যে নাগরপুরে ২ জন করোনা রোগীশনাক্ত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী ভূমিকা না নেওয়ায় সারা উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার সুশীল সমাজ।
এদিকে ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশ করোনা ঝুকিতে রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এখন পর্যন্ত নাগরপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চঁাদ এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশও মানুষ আমরা নিজেদের সুরক্ষিত রেখে নাগরপুর উপজেলায় করোনা মোকাবেলায় আপ্রানচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...