লাল মিয়া পেশায় একজন ভ্যান চালক। করোনাকালে সে গত এক সপ্তাহ ধরে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। যে কারণে ঘরে চাল নেই। চুলাতেও জ্বলছেনা আগুন। স্ত্রী, চার বছরের এক ছেলে ও দেড় বছর বয়সী এক বাচ্চা রয়েছে তার। শিশুরা দুধ না পেয়ে কান্না করছে। টাকার অভাবে দুধ কিনে দিতে পারছেন না।
এমন অভাবে দিন কাটছে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ছোটমৌশা গ্রামের লাল মিয়ার। এরই মাঝে তিনি প্রতিবেশী একজনের কাছে শুনতে পান, ইউএনওর নম্বরে কল দিলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায়। সেই কথা শুনে ইউএনওর নম্বর নিয়ে রোববার রাতে ফোন করেন।
ফোন পেয়ে আর শিশু বাচ্চা দুধের অভাবে কান্না করছে শুনে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা রাতেই উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) সঙ্গে নিয়ে ভ্যানচালকের বাড়িতে যান।
বাড়িতে গিয়ে ১০ কেজি চাল ও দুধ কেনার ৫০০টাকা দিয়ে আসেন। ভ্যানচালক লাল মিয়া বলেন, ‘হাছাই (সত্যিই) ওই মেডাম আংগো বাইততে আইছ্যাল। যেন আমি খোয়াব (স্বপ্ন) দেখচি। আল্লায় যেনো আমাগো মেডামকে বাঁচাইয়া রাখে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, ওই ভ্যান চালক আমাকে ফোনে বলল, আমার বাচ্চা দুধের জন্য কান্না করছে। তখন আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। ওই বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা ও বাচ্চার দুধের জন্য টাকা দিতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...