টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা শিক্ষার্থীদের লাইন সোজা করতে দেরিসহ সামান্য ভুলেও বেধড়ক পেটাচ্ছেন। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।
গতকাল বুধবার ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের লাইন সোজা করতে দেরী হলেও হওয়াতে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গত মঙ্গলবারও পেটানো হয়। একদিন যেতে না যেতে গতকাল বুধবারও তাকে পেটানো হয়। সে এখন তাদের বাসায় আছে। শরীরে প্রচন্ড জ্বর অনুভব করছে।
মো. রুহানুল ইসলাম নামে চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী জানায়, গতকাল বিকেলে বাইমহাটি গ্রামের খেত থেকে স্কুলের মাঠে তাদের আনা হয় কসরত শিখানোর জন্য। সে বলে, ‘ড্রিল করার সময় রোদের তাপ লাগে। খাওয়া দাওয়া হয় না। খুবই অস্থিতরা লাগে। এজন্য বিকেলে হয়তোবা বেখেয়ালী ছিলাম। লাইন বড় হয়েছিল। চিপাচিপি হয়ছিল। আমি বুঝতেই পারিনাই যে আরেকটা লাইন করণ লাগবো। তহন হেড ম্যাডাম আমাকে মারলো।’
তার মা রুনু তালুকদার বলেন, ছেলের জন্য তিনি তাঁর স্বামীর কাছে অফিসে পানি দিয়ে বাসায় ফিরে ফিরছিলেন। এসময় স্কুলের মাঠ থেকে ছেলেটি তাঁকে ডাকছিল আর কান্না করছিল। তিনি গিয়ে দেখেন ছেলেটিকে খুবই পেটানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন তাঁর ছেলে নিয়ে মাথায় পানি ঢালেন। এরপর মির্জাপুর বাজারে একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়।
তার বাবা লুৎফর রহমান বলেন, বদলীর কারণে জানুয়ারিতে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেছেন। কিন্তু এখানে এই অবস্থা হবে তা তিনি বুঝতে পারেননি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, আগামী রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...