টাঙ্গাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধা ও দুই নারীকে মারধরের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার হুগড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,রহিমা বেগম (২৩), রাবেয়া বেগম (২১) এবং সুমারী বেগম (৪২)।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার হুগড়া গ্রামে মোজাম্মেল হকের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে ফজল হক ও তার সহযোগিরা। এ সময় তাদের বাধা দিলে মোজাম্মেল হকের বড় ভাই সাইফুল ইসলামকে মারধর করে। সাইফুল ইসলামকে বাচাতে গেলে তার দুই ভাইয়ের বউ নাছিমা বেগম ও মাজেদা খাতুনকেও মারধর ও শ্লীলতাহানী করে।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের ভাই মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।
মামলার আসামীরা হলেন- হুগড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে ফজল হক (৫২), আশরাফ আলী (৫৪), নজরুল ইসলাম (৪৫), মৃত রিয়াজ সরদারের ছেলে আরজান (৫৩), মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ওয়ারেছ আলী (৩৫), আশরাফ আলীর ছেলে ইমরান হোসাইন (২২), নজরুল ইসলামের ছেলে বাবু মিয়া (১৯), নুরনবী (২০), ফজল হকের মেয়ে রহিমা বেগম (২৩), রাবেয়া বেগম (২১), ফজল হকের স্ত্রী সুমারী বেগমসহ (৪২) আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোজাম্মেল হক বলেন, জমিটি আমার বাবা ৫০ বছর আগে কিনেছিল। যা আমরা এখনো ব্যবহার করছি। কিন্তু ফজল হকরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তারা মামলা করলেও আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা কয়েক বার এ নিয়ে সালিশ করলেও তারা তা মানেনি। এখন তারা আমাদের জমি দখল করতে আসে, আমরা বাধা দিলে তারা আমার ভাই ও দুই ভাইয়ের বউকে হত্যার উদ্যেশে আঘাত করে। আমি তাদের সঠিক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শাহাদত বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার ৮ নং আসামী রহিমা বেগম ৯নং আসমী রাবেয়া বেগম ও ১১নং আসামী সুমারী বেগমকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গত কাল রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কোর্টে চালান করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...