টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বহুল আলোচিত নদীগর্ভে বিলীন হওয়া গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিনামূল্যে পাঠ্যপূস্তক বিতরন তথা বই উৎসব। নতুন বছরে বিনামূল্যে নতুন বই ও অস্থায়ী নতুন ভবন পেয়ে শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক বইছে। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ৩ বছর পর এ ধরনের বই উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় ধলেশ্বরী নদীর চরের এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত।
২০১৭ সালের বন্যায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় নাগরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি। এরপর থেকেই পাঠদান চলেছে একটি বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নীচে। রোদ, গরম ও শীতের কনকনে হাওয়াকে চোখ রাঙিয়ে এতদিন ধরে চলছে পাঠদান। বৃষ্টি নামলেই ছুটি দিতে বাধ্য হতেন শিক্ষকরা।
অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী ভবন নির্মান করা হয়েছে। থাকছে শিক্ষার্থীদের জন্য টয়লেট ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা।
বই উৎসবে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনের ফলে দীর্ঘদিন গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কষ্ট ভোগ করেছে। তাই আমি নিজে ঐ এলাকায় গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ভাঙ্গন কবলিত এলাকা নির্ধারন করে অস্থায়ী ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করেছি। আর সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে এখানে বই উৎসবের ব্যবস্থা করেছি। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের অতীতের দুঃখ কষ্ট ভূলে নতুন উদ্যমে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বিথী, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জি এম ফুয়াদ মিয়া সহ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...