টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরে বিনামুল্যের খুঁটির জন্য টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। টাকা না দিলে মিলছে না বিদ্যুতের খুঁটি।
সম্প্রতি খুঁটি স্থাপনের পর স্বাক্ষর করে ঘুষ গ্রহনের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পিডিবির বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এলাকাগুলোতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনামূল্যে খুঁটি (পুল) সরবরাহ করা হয়।
কিন্তু উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটি লাগাতে ঘুষ দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। পিডিবির কর্মকর্তাদের যোগসাজস্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুঁটি প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার শফিক মাষ্টার নামের এক বিদ্যুৎ গ্রাহকের বাড়ির পাশে বিদ্যুতের খুটি লাগানোর জন্য ৬৫০০ টাকা ঘুষ দেন ঠিকাদার আব্দুর রহিমকে।
ঠিকাদার রহিমের পক্ষে শামীম নামের এক ব্যক্তি কাগজে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করে টাকা নেয়ার এমন একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।
একই ঘটনায় গেল সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের পাশের একটি চা-স্টলের সামনে ঠিকাদার আব্দুর রহিম খুঁটি স্থাপনরের জন্য অগ্রিম ৩ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছেন এমন একটি অডিও- ভিডিও তথ্য পাওয়া গেছে।
টাকা দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি আনা পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার শফিক মাষ্টার জানান, তার ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় খুটি (পুল) জন্য আবেদন করা হয়। পরে খুটি লাগানে টাকা দিতে হয়।
পিডিবির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা খুঁটি প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা নেন। টাকা না দিলে খুটি (পুল) মিলে না। প্রয়োজনের কারনে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে খুঁটি আনতে হয়।
একই এলাকার দিপু তালুকদার জানান, বিদ্যুতের খুঁটি আনতে, লাগাতে ও লেবারসহ গ্রাহককে টাকা দিতে হয়। ভূঞাপুর পিডিবির কর্মকর্তারা জড়িত এমন ঘুষ গ্রহণে।
ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে খুঁটির জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...