পেশায় তিনি পল্লীবিদ্যুতের একজন প্রথম সারির ঠিকাদার। ঠিকাদারির পাশাপাশি ছুটে যান এলাকায়।
জনসেবা আর সামাজিক কর্মকান্ডে তার হাত প্রসারিত। আয় থেকে তিনি সিংহভাগ টাকা বিভিন্ন সময়ে দল ও গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেন।
এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে রয়েছে তার সহযোগিতার হাত। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে অকাতরে দান করা যেন তার নেশা। ইতিমধ্যে এলাকায় তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি হচ্ছেন রসুলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার।
তার বাবার নাম মোসলেম উদ্দিন সরকার। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ঘোনারদেউলী গ্রামের মুসলিম সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম তার।
তিনি দীর্ঘ দিন এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘোনারদেউলী গ্রামের আঃ রহিম (৪০) জানায় চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার সরকারী বরাদ্দ ছাড়াও নিজের টাকায় বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানায়, গরীব মেয়ের বিয়ের সাহায্য এবং হতদরিদ্রদের জন্য চিকিৎসার টাকা দিয়ে থাকেন। তার কাছে হাত বাড়িয়ে কেউ ফেরৎ গিয়েছে এমন কোন নজির নাই উপজেলা জুড়ে।
একই গ্রামের সাইফুল (৩০) জানায় অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সরকারি বরাদ্দ বিতরন করে তাদের দায়িত্ব শেষ দেয় কিন্তু এমদাদ চেয়ারম্যান সরকারী বরাদ্দ শতভাগ বিতরন করেও আরো চাহিদা থাকায় নিজের টাকায় চাউল ক্রয় করে গরীবদের মাঝে বিতরন করে থাকেন। একই নিয়মে গত কোরাবানী ঈদে নিজের টাকায় ২ টন চাউল ক্রয় করে গরীবদের মাঝে বিতরন করেছেন।
ওই গ্রামের হারুন (৩০) জানায় এমদাদ সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নে ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি জিহাদ ঘোষনা করায় এলাকার অপরাধী যারা অন্যায় পথে টাকা রোজগার করত তাদের অবৈধ রোজগার বন্ধ হয়ে যাওযায় অপরাধীরা চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপ্রচার চালাচ্ছে।
তার পরেও তিনি অন্যায়কে বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে বাবার মতই ন্যায়ের পথে অবিচল থাকেন তিনি। তিনি এলাকার মানুষের কথা ভেবে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণ নিজের টাকা খরচ করে ঘোনারদেউলী প্রাইমারী স্কুলের পাশে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তাছাড়াও ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য খুপিবাড়ী, হাজীপুর ও রামপুর নদীর উপর ৩টি ঝুলন্ত সেতু বর্তমানে নির্মাধীন। যার আনুমানিক ব্যয় হবে ২০ লাখ টাকার উপরে। তিনি এভাবে একের পর এক জনবান্ধব কাজ করে শুধু ইউনিয়নে নয় উপজেলা জুড়ে সারা জাগিয়ে তুলেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার শুধু তার ইউনিয়নেই উন্নয়ন করেনি উপজেলার যে কোন প্রান্তে মানুষের দুর্ভোগের কথা জানলে সেখানেই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে আঙ্গারখোলা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমারা সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বাজারে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় আমাদের বেচা বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হতো।
চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারের কাছে আমাদের দুর্ভোগের কথা জানালে তিনি দ্রুত তার নিজস্ব অর্থায়নে ১৪ হাজার টাকার মাটি ফেলে আমাদের দুর্ভোগ বিদায় করে দিয়েছেন।
ঘোনারদেউলী গ্রামের আ’লীগ নেতা মোতালেব জানায়, যে চেয়ারম্যান নিজের জন্য কিছু না করে গরীবদের চাউল কিনে দেয়।
মসজিদ, মাদরাসায় রড সিমেন্ট কিনে দেয়, গরীর মেয়ের বিয়ের সাহায্য দেয়, হতদরিদ্রদের চিকিৎসার টাকা দেয়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল তৈরি করে দেয় এবং যাতায়াতের জন্য রাস্তা সহ সেতু তৈরি করে দেয় সেই দানবীর এমদাদ চেয়ারম্যানকে হেয় করার জন্য ৭১ সনের কিছু দেশবিরোধী অনুসারীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ্রচার করে তার সন্মান হানি করছে।
এসব দেশবিরোধীদের মুখোশ উন্মোচন করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার বলেন, দেশবিরোধীরা যতই অপপ্রচার করুক না কেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে রসুলপুর ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাতে চান।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...