টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় কুমার দে সরকার(লিটন) একটি পরিত্যক্ত অটো রাইস মিলের আড়ালে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। মাদক ব্যবসা চালাতে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মরণনেশা ইয়াবা মাদকাসক্তদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ফলে কালিহাতী পৌরসভার উত্তর বেতডোবা স্থানীয়দের কাছে ইয়াবার জোন বলে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কালিহাতী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় কুমার দে সরকার(লিটন) বিগত ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্র দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে তিনি আওয়ামী ঘরাণার লোকদের সাথে মেলামেশা শুরু করেন। পরে তিনি কালিহাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। এরপর ২০১৫ সালের ৩০ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের ব্যানারে তিনি কালিহাতী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানায়, বেতডোবা এলাকার ড্রাইভার অজিত কুমার দে সরকারের ছেলে অজয় কুমার দে সরকার(লিটন) কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তর বেতডোবা এলাকার তরফদার অটো রাইস মিলটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটো রাইস মিলের ব্যবসায়ও ভাল করতে না পারায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পরে তিনি ভাড়াকৃত রাইস মিলটিই ইয়াবা ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এবং শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন, একই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবি(৩০), জুলহাস উদ্দিনের ছেলে আলামীন(২২) ও শাহ আলীর ছেলে সুজন(২৫)। কাউন্সিলর অজয় কুমার দে সরকার(লিটন) বরাবরই নেপথ্যে থেকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। একই এলাকার হাদু মিয়া(৩০), হেলাল(২৮), বেল্লাল হোসেন(৩৫), মতি মিয়া ওরফে ফেরদৌস(২৮), বাদল (৩০) ও রফিক(৩৫) সহ আরো ৬-৭জন ওই সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য।
স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যুবক-কিশোররা এসে ইয়াবা কিনে নিয়ে যায়। খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা মোবাইল ফোনে ইয়াবা চাইলে সিন্ডিকেটের লোক তাদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেয়। বেতডোবা এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হওয়ায় তারা প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর অজয় কুমার দে সরকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাসান আল মামুন জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে তদন্ত করে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...