টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার সামনে মার্কেট নির্মাণের কারণে থানার সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যত্রতত্রভাবে দোকান নির্মাণের ফলে থানার দিকনির্দেশক ফলকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে থানার দিকনির্দেশক ফলক একটি ওষুধের দোকানের ভিতর দিয়ে থানায় যাওয়ার রাস্তা বুঝাচ্ছে। আর এই নিয়ে হাট-বাজার ও চা-স্টলগুলোতে এলাকায় থানা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। থানা কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে এটিকে নীতিবাচক বলে মনে করছে সাধারন মানুষ।
জানা গেছে, ভূঞাপুর থানার তৎকালীন কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন থানার পশ্চিমপাশে মাকের্ট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এরপর ওসি কাউসার চৌধুরী থাকাকালীন থানার সামনে সড়ক ও জনপদের জায়গা নিয়ে থানার গাছ কেটে ও ড্রেন ভেঙে প্রায় ১৩টি মার্কেট নির্মাণ করেন। পরে মার্কেটগুলো কক্ষ বিপুল টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। ওসি কাউসার অন্যত্র বদলি হওয়ার পর রাশিদুল ইসলাম থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তিতে তিনিও থানা গেটে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এতে থানার দিকনির্দেশক ফলক ওই দোকান ঘরের সামনে পড়ে যায়। এছাড়াও থানার ভিতরে সেলুট ডায়াস (সম্মান মঞ্চ) স্থানে একটি পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করেন। নির্মিত ওই দুটি দোকান ঘরের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছে ওই দুইটি দোকান ঘর নির্মাণের ফলে থানার সৌন্দর্য্য হারিয়েছে।
হারুন অর রশিদ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী থানার দিকনির্দেশক ছবি পোষ্ট করে স্থানীয় সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থানার সৌন্দর্য্য নষ্ট করে মার্কেট নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে প্রতিবেদন করার অনুরোধ করেন।
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী অপরিকল্পিতভাবে থানা গেটের পূর্ব ও পশ্চিমপাশে মার্কেট নির্মাণ করা ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম জানান, থানার দিকনির্দেশক ফলক অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...