টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনীর বেসামরিক প্রধান, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে দলের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল আজ সেই দল সরকারে। কিন্তু এখনও নানা সময়ে নানা ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন বা সৎকার করা হয়। কিন্তু আমাদের যে সংবিধান, সেখানে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই সরকারকেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইনও করতে হবে। না হলে অন্য কোন সরকার এসে আর এটা দিবে না।
তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ ও শহীদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর টাঙ্গাইল আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন।
টাঙ্গাইলের একমাত্র ব্যক্তি উদ্যেগে গড়ে উঠা শহীদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কম, এদের পরিবারের সংখ্যাও কম, তাই সরকারেও এরা কম। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার কোন কিছু করতে চাইলেও সেটা নিচ থেকে এমন সব প্রোপ্রাজাল দেওয়া হয় যেন মনে হয় মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশটাকেই নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটা কোঠা ছিল। সেটা বন্ধের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির কি বিরাট আন্দোলন হল। সে সময় মুক্তিযোদ্ধারা কোন আন্দোলন বা শাহবাগের মোড়ে অবস্থান না নিলেও বঙ্গবন্দু কন্যা শেখ হাসিনা বুদ্ধি দিয়ে সেটা রাখার ব্যবস্থা করেছেন বা রাখবে।
আগামী বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার বেড়ে ১২ হাজার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা কমপক্ষে ২০ হাজার হওয়া উচিত।
মুক্তিযোদ্ধাদের নানা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এরপরে আমরা যে অনুষ্ঠান করবো, সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উপস্থিত রাখার চেষ্টা করবো। যাতে আপনারা সরাসরি তার সামনেই আপনাদের অভিযোগ, অনুযোগ উপস্থাপন করতে পারেন। ভাতা বিড়ম্বনা নিয়ে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঝে যতটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। সরকারী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সেটা নেই। আমরা প্রত্যেকটা মাদ্রাসায় পৌছাতে চাই। কারণ মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে পড়ানো হয় না।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি মোঃ ইউনুছ আলী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ টাঙ্গাইল এর সভাপতি আলহাজ¦ আবু মোঃ এনায়েত করিম।
এসময় বক্তব্য রাখেন নাগরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুজায়েত হোসেন, বাসাইলের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রায় চারশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...