টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ফাঁসিতে ঝুলে রুনা বেগম (২০) নামের এক অন্তসত্তা গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
জানা যায়, গত দু’বছর আগে টাঙ্গাইল সদরের চর সাটুরিয়া গ্রামের বাবু মিস্ত্রির মেয়ে রুনার সাথে দেলদুয়ার উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মজনু সিকদারের ছেলে আব্দুর রহিমের (২৫) বিয়ে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। প্রতিদিনের মতো রোববারও স্বামী আব্দুর রহিম সকালে কাঠ মিস্ত্রির কাজে বের হয়। দুপুরের খাবারের জন্য নিয়মিত বাড়িও আসে। এদিকে প্রতিদিন স্ত্রী রুনা দুপুরে কাজের ফাঁকে ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে নেয়। একই দিন দুপুরে রহিম খেতে এসে ঘর আটকানো দেখে ভাবেন স্ত্রী রুনা ঘুমাচ্ছে। খাওয়া সেড়ে পুনরায় কাজে গেলে বাড়ির লোক দরজা খুলে দেখতে পায় স্ত্রী রুনা ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। স্থানীয়রা লাশটি উদ্ধার করে।
রুনার স্বামী আব্দুর রহিম ও রুনার শশুর মজনু সিকদার রুনার ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করার কোন কারণ জানাতে পারেনি।
এদিকে রুনার পরিবার থেকে স্বামী আব্দুর রহিমের প্রতি রয়েছে নানা অভিযোগ। রুনার বাবা বাবু মিস্ত্রী, চাচী আনোয়ারা বেগম ও নানী হামিদা বেগম অভিাযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগে থাকত। কোনদিন রহিম শশুর বাড়ি যেত না। রুনা বাড়ি গেলে রহিমের বৃদ্ধ বাবা মজনু মিয়া পুত্রবধুকে নিয়ে আসত।
এছাড়া রুনাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ করেন তারা। তাদের ধারনা, স্বামীর সাথে ঝগড়ার জের ধরেই রুনা আত্মহত্যা করেছে।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনা শুনেছি। মেয়ের পক্ষ কোন অভিযোগ দেয়নি।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...