টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০ তম মৃত্যু বার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে দেশি বিদেশী অসংখ্য ভক্ত ও অনুসারি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভাসানী ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করে ভাসানীকে শ্রদ্বা বনত চিত্তে স্মরন করে।
সকাল থেকেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে চির নিদ্রায় শায়িত সন্তোষের তার মাজার প্রাঙ্গনে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় উপমহাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আপসহীন এই নেতার মাজারস্থল।
তার অসংখ্য মুরিদান ও ভক্তদের কন্ঠে যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী শ্লে¬াগানে মুখরিত হয়ে উঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল টাঙ্গাইলের সন্তোষের পুরো মাজার প্রাঙ্গন।
সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসুচী শুরু করেন।
পরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় পার্টি, টাঙ্গাইল পৌর সভা, প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্বা নিবেদন করা হয় ।
এছাড়া জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মাজার সংলগ্ন প্রাঙ্গনে স্মরন সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তৃতা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ভাসানীর দরবার হলে ভাসানীর ভক্ত খোদাই খেদমত গারের উদ্দ্যেগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো দেয়াল পত্রিকা, কাঙ্গালী ভোজসহ দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মওলানা ভাসানীর আপোসহীন ভূমিকা কে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্বাভরে স্মরন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের এ দিনে তিনি ৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...