টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে চলন্ত বাসে গণধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে বনের সড়ক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক তরুনীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতে তার স্বজনরা থানায় এসে লাশের ছবি দেখে তরুনীকে তাদের আত্মীয় রুপা খাতুন বলে সনাক্ত করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহগামী ছোয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) চালক, কন্ট্রাকটার ও হেলপারসহ ৫জন স্টাফকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন গণধর্ষনের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। বাকি দুইজনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উলেখ্য, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুনী রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়ির সহকারি পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
শারিরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায় ধারনা করে শনিবার হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানা পুলিশ। এরপর থেকে অপরাধীদের সনাক্ত করার জোর চেষ্টা চালায় তারা।
তরুনীর বড় ভাই গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় উপস্থিত হয়ে লাশের ছবি দেখে পরিচয় সনাক্ত করে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...