টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো এক আসামী মকবুল হোসেন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিল।
রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাস তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতারকৃত আসামি কিশোর মাইনুল হাসান মাসুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ইট ভাটার ম্যানেজার শওকত রেজা সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পরে আদালতে হাজির করা হলে সেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি আরো জানান, আসামি শওকত রেজা ওরফে সৈকত তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আরো কয়েকজনের নাম উলেখ করেছিল। এরই সূত্র ধরে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মকবুলও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে সে, হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীদের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছে বলেও জানিয়েছে।
আসামী মকবুল অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের আব্দুল হামিদ তরফদার এর ছেলে এবং ইউপি সদস্য বলেও তিনি জানান।
উলেখ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলার ভারই গ্রামের রকিবুল ইসলাম ফরিদ টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর রোডের কাগমারাীপাড়া এলাকায় একটি ডাল এর মিলে কাজ শেষে সোমবার রাতে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ভ্যানে থাকাবস্থায় তার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথাও বলেছিলেন তিনি। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। ওই রাতেই তার ব্যবহৃত মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে জবাই করা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
নির্মান ও ডিজাইন : মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার বাই: জিরোওয়ানবিডি
আপনার মন্তব্য লিখুন...